সন্তানকে মাটিচাপা দিতে চাইলেন মা

পারিবারিক অশান্তিতে হতাশায় পড়ে নিজের দুই বছরের শিশুকে মাটিচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এক মা। তবে ব্যর্থ হয়েছে তার সেই প্রয়াস।
ঘটনাটি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি এলাকার। রোববার দুপুরে এ ঘটনার সূত্রপাত হলে স্থানীয় লোকজন বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে।
যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে শাহিনুর রহমান নামে সে এলাকার একজন বাসিন্দা জানান, শিশুটির মায়ের নাম শামিমা আক্তার বন্যা। তিনি পুষ্পকাটি গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের মেয়ে। বছর কয়েক আগে সদর উপজেলার কালিন্দি ছয়ঘরিয়া গ্রামের আর্মড পুলিশ সদস্য শিবলুর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। বিয়ের আগের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে এই দম্পতির কলহ শুরু হলে তাদের দুই বছর বয়সী সন্তান ফাহিমকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান বন্যা।
স্থানীয় ওই ব্যক্তিটি আরও জানান, বাবার বাড়ি এসেও মানসিকভাবে শান্তিতে ছিলেন না বন্যা। এই পরিবারেও নানা জটিলতায় বিপর্যস্ত হয়ে রোববার দুপুরে বাড়ীর আঙিনায় গর্ত খুঁড়ে নিজের সন্তানকে মাটিচাপা দিয়ে ‘হত্যা’ করার চেষ্টা চালান তিনি। তবে এক প্রতিবেশী ঘটনাটি দেখতে পেলে দৌড়ে গিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার বর্ণনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সোমবার বিকেলে সংবাদকর্মীরা ওই বাড়িতে হাজির হন। তবে সাংবাদিকদের আগমণের খবর পেয়ে শিশুটিকে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখেই পালিয়ে যান বন্যাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।
এ ঘটনায় বন্যা, তার পরিবারের সদস্য ও তার স্বামী শিবলুসহ কারও বক্তব্যই জানা সম্ভব হয়নি। শিবলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি আমাকে কেউ অবহিত করেনি। আমি খোঁজ-খবর নিচ্ছি।