সংস্কার শেষ, রাতেই খুলে দেওয়া হচ্ছে টঙ্গী সেতু
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তুরাগ নদীর ওপর গাজীপুরের টঙ্গী সেতুর ভেঙে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ অংশের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। শনিবার রাতে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সেতুটি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সেতু বিভাগের প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, "শনিবার সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেবো। সেতুর যে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা সংস্কার করা হয়েছ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিজটি খুলে দেয়া হচ্ছে। তখন গাজীপুরের গাড়িগুলো সোজা চলাচল করবে।"
তিনি আরও বলেন, "এরই মধ্যে ওখানকার (সংস্কার অংশে) একটি কিউরিং টেস্ট করিয়েছিলাম, তাও হাতে পেয়েছি। এরপরই ব্রিজটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্মাণাধীন নতুন সেতুর কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মেরামত করা সেতু দিয়েই যানবাহন চলাচল করবে।"
গত ১০ দিন যাবত এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যাত্রী ও বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। থেমে থেমে যানবাহন চলাচল ও যানজটের কারণে অনেকে সময়মতো অফিস-আদালত ও নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি।
সেতুর স্ল্যাব ভেঙে পড়ার পর দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পরিদর্শন করে তা সংস্কারের জন্য ১২ দিন সময় নেন। সে মোতাবেক ২১ নভেম্বর সেতুতে যান চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিআরটি কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেই সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দিচ্ছে।
গত ৯ নভেম্বর টঙ্গী ব্রিজের ঝুঁকিপূর্ণ অংশটি চিহ্নিত হয়। পরদিন ১০ নভেম্বর রাতে ব্রিজ দিয়ে ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঢাকামুখী যানবাহনগুলো কামারপাড়া সড়কের মোড় ঘুরে রাজধানীতে প্রবেশের বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এতে দীর্ঘ যানজটে নাকাল হন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা। পরে ১২ নভেম্বর থেকে ব্রিজের সংস্কার কাজ শুরু হয়।