শিশু তুহিন হত্যায় বাবা ও চাচার মৃত্যুদণ্ড
সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়া হত্যা মামলায় বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা নাসির মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর দুই চাচা জামসেদ ও মোছাব্বিরকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এই আদেশ দেন।
সুনামগঞ্জ পাবলিক প্রসিকিউর এডভোকেট শামুসন্নাহার রব্বানী শাহানা বলেন, আলোচিত মামলায় দ্রুততম সময়ে রায় দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় বাবা ও চাচাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) শিশু তুহিন হত্যা মামলায় তার চাচাতো ভাই কিশোর শাহরিয়ারকে ৮ বছরের আটকাদেশ দেন সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন। এ ৮ বছর তাকে কিশোর সংশোধনাগারে রাখা হবে।
তুহিন হত্যার ঘটনায় তার মা মনিরা বেগমের দায়ের করা মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে তার চাচাতো ভাই শিশু হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে হয়েছে। একই মামলায় আরও চার অভিযুক্ত তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), তিন চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলীর (৬০) বিচার হচ্ছে সুনামগঞ্জে দায়রা জজ আদালতে।
২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। তুহিনের গলা, দুই কান ও যৌনাঙ্গ কাটা ছিল। পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ছুরি।
এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে পরের দিন অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন। এই মালায় পুলিশ তুহিনের বাবা, তিন চাচা ও এক চাচাতো ভাইকে গ্রেপ্তার করে।
তুহিন হত্যা মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। আদালতে মামলার অভিযোগ গঠন হয় ৭ জানুয়ারি। ৪ মার্চ আদালতে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
মামলার অভিযুক্ত সব আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর পর মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।