শিকারের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল বাঘটি
পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের চুনকুড়ি রাজাখালি খালে গত রোববার একটি বাঘের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। জেলেদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বনবিভাগ।
বনবিভাগ বলছে, বার্ধক্য জনিত কারণেই মারা গেছে বাঘটি। তবে নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান জানান, "মৃত বাঘটি যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানেই রয়েছে এখনো; বন বিভাগের কর্মীরা পাহারা দিচ্ছে। বাঘ সাধারণত ১৩ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকে। মৃত বাঘটি দেখার পর মনে হয়েছে, বয়স বেশি হওয়ায় বার্ধক্যজনিত কারণে বাঘটি মারা গেছে। এর একটি দাঁত একেবারেই বিলীন হয়ে গেছে। আরেকটি দাঁত ক্ষয়ে অর্ধেক হয়েছে। বয়সের ভারে এখন শিকার করার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে বাঘটি।"
"তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঢাকায় ডিএনএ টেস্ট করা হবে। বন বিভাগের একটি দল সোমবার (৮ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছেন। ময়নাতদন্ত শেষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে", জানান তিনি।
পশ্চিম সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালীনি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, "সুন্দরবনে সবশেষ ২০১৮ সালে বাঘশুমারী করা হয়েছিল। তখন সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৪টি। ২০২২ সালে আবারও বাঘশুমারী করা হবে। তখন বনের বাঘের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে।"
এর আগে, গত ২০ মার্চ পূর্ব সুন্দরবন বাগেরহাট জেলার শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীর পাশে ধনচেবাড়িয়া চর থেকে একটি মাদী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মরদেহ উদ্ধার করেছিল বন বিভাগ।