লকডাউনে ফের ভাসমান মানুষের পাশে সৈকত
করোনাভাইরাসের কারণে বুধবার থেকে সরকার ঘোষিত লকডাউনে নগরীর ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষকে রান্না করা খাবার বিতরণ করতে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসু'র সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা তানভীর হাসান সৈকত।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কার্যক্রমের কথা জানান সৈকত।
তিনি জানান, আগামীকাল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে শুরু হচ্ছে লকডাউন। অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো, ছিন্নমূলের পেটে বাড়ছে খিদের আর্তনাদ। এমন অবস্থায় সার্বিক সংকটের কথা চিন্তা করে শহরের অসহায় সংকটাপন্ন মানুষের জন্য তিনটি সেবা নিয়ে আগামীকাল থেকে কার্যক্রম শুরু করছি।
তার কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে:
১. বিনামূল্যে রোগীদের পরিবহন সেবা: লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ এবং অতিরিক্ত রোগীর চাপে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্কট তৈরি হওয়ায় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে অসংখ্য মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। আমাদের হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগের মাধ্যমে এই সেবাটি প্রদান করা হবে।
২. টিএসসিতে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা: শহরের অসংখ্য ভাসমান ছিন্নমূল ও ভবঘুরে মানুষ রয়েছে। গৃহহীন শ্রমজীবী মানুষগুলো দিন এনে দিন খায় অথচ লকডাউনে অসহায় হয়ে পড়ছে। পূর্বের ন্যায় এই মানুষগুলোর জন্য থাকছে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম।
৩. বিনামূল্যে শিশুর গুড়া দুধ: লকডাউনে শহরে অসংখ্য পরিবার উপার্জনহীন হয়ে পড়ায় শিশুর দুধ কেনার সামর্থ্য থাকে না। সে সকল মায়েদের কাছে বিনামূল্যে সন্তানের দুধ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। এই সেবাটি হট লাইন নাম্বারে 01684023411 যোগাযোগের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
এর আগেও গতবছর লকডাউনের সময় টানা ১২১ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ভাসমান মানুষদের রান্না করে খাওয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফর্মেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সৈকত ও তার বন্ধুরা। যার স্বীকৃতি হিসেবে সৈকতকে 'রিয়েল লাইফ হিরো' উপাধি দেয় জাতিসংঘ।