লকডাউনের তৃতীয় দিনে জনশূন্য বন্দরনগরী
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও লকডাউনের তৃতীয় দিনে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রাস্তা ছিল একেবারেই ফাঁকা।
নগরের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় বন্ধ রয়েছে সমস্ত গণপরিবহন। গত দুইদিনের তুলনায় রাস্তায় মানুষ ও ব্যক্তিগত পরিবহনের চাপ নেই। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া নগরবাসী ঘরের বাইরে আসছেন না। আর আজ যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে গিয়েছেন বা বাসায় ফিরছেন।
অধিকাংশ মানুষই পরিবহন হিসেবে রিকশা ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন মোড়ে বেশকিছু ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল দেখা গেছে। মাঝে মাঝে দু-একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাও চলাচল করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে রাস্তায় মানুষেরর চাপ কম থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও তেমন ব্যস্ততা দেখা যায়নি।
যদিও গতকাল সপ্তাহের শেষ দিনে, ব্যাংক ও কলকারখানা খোলা থাকায় রাস্তায় গাড়ি ও মানুষ বেশি ছিল। রাস্তায় বের হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় খুব জরুরি কাজ বা বাজার সদাইয়ের কাজ ছাড়া তেমন একটা বাসা থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ।
একজন রিকশাচালক ফরহাদ বলেন, "রাস্তায় অন্য কোনো গাড়ি নেই। কিন্তু রিকশার সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। গত কয়েকদিনে অনেক নতুন ড্রাইভার আসছে, তাই কম ভাড়া দিয়ে যাত্রী পরিবহন করতে হচ্ছে।"
এর আগে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৫ এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য গণপরিবহন বন্ধসহ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ১১ দফা কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। দুদিন পর সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। এর একদিন পর খুলে দেওয়া হয় শপিংমলও।
পরে ৯ এপ্রিল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১৪ এপ্রিল থেকে 'কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন' এর ঘোষণা দেন। ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই 'সর্বাত্মক লকডাউন'।