রেগে গিয়ে মন্ত্রীত্ব ছাড়তে চাইলেন খাদ্যমন্ত্রী!

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে আলোচনা চলছিল দেশের খাদ্য উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতি জটিল হিসেব-নিকেশ নিয়ে। এর মধ্যে মিল মালিকরা কীভাবে চালের বাজারে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, তা বিস্তারিত তুলে ধরেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।
এই অর্থনীতিবিদের বক্তব্য শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের এককর্মী হঠাৎ বলে বসেন, 'মন্ত্রী নিজেই তো রাইস মিলের মালিক!' তা শুনেই ক্ষেপে যান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রেগে গিয়ে বারবার জানতে চান প্রশ্নকারীর নাম। মন্ত্রী বলেন, 'এই কথাটা বলে গোটা মিটিংটা কলুষিত করেছেন। এই কলঙ্ক নিয়ে আমি মন্ত্রীত্ব চালাতে চাই না। প্রয়োজনে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেব।'
তিনি বলেন, 'আপনারা মনে করলে আমি এখনই চাকরি ছেড়ে দেব। একইসঙ্গে আমার মনে হয়, এই অনুষ্ঠানটিও ছেড়ে যাওয়া উচিত।'
পরবর্তীকালে মন্ত্রী অবশ্য এই রাগের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দাবি করেন, তিনি একজন কৃষক। তার পরিবারও একটি কৃষক পরিবার। তাকে বিভিন্ন জায়গায় চাল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রশ্ন শুনতে হয়। যে কারণে তিনি বেশ বিরক্ত এবং তার বেশ মন খারাপ হয়।
তিনি বলেন, 'আমার এলাকা নিয়ামতপুরে একটি রাইস মিলও নেই।'
মন্ত্রীর কথা শুনে চুপ করে গেলেও পরবর্তীকালে উপস্থাপকের সহায়তায় মন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্যকারী সুবল সরকারকে খুঁজে বের করা হয়। তিনি তার মন্তব্যের জন্য মন্ত্রীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামান। তিনিও সুবল সরকারের মন্তব্যের জন্য খাদ্যমন্ত্রীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।