রাজশাহীর করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল বন্ধ
রাজশাহীর একমাত্র করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ার কথা বলে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে খ্রিস্টান মিশনারী হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এখন সেখানে চলছে সংস্কার কার্যক্রম।
এদিকে করোনাভাইরাস পুরোপুরি নির্মূল না হতেই একমাত্র ডেডিকেটেড হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ায় সচেতন মহল বিস্মিত।
দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ বছরের এপ্রিল মাসে বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চুক্তি অনুযায়ী এসব হাসপাতাল কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের চিকিৎসা দিত। খরচ বহন করত সরকার। সেই চুক্তি অনুযায়ী এ হাসপাতালের সঙ্গে মাসিক ১২ লাখ টাকা ভাড়ায় চুক্তি করে মন্ত্রণালয়।
ওই চুক্তিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হলেও করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালখ্যাত এই হাসপাতালে কোনো অক্সিজেনের ব্যবস্থা ছিল না। নার্স ও স্টাফদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা দিতেন না।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহীর খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। বাইরে থেকে দেখা যায় হাসাপাতালের ভেতরে সুনশান নীরবতা। একটু সামনে গেলে দেখা মিলে গেটের পাশে একটি ব্যানার টানানো হয়েছে। সেখানে লেখা, 'অত্র হাসপাতালের করোনা চিকিৎসার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বর্তমানে জীবাণুমুক্তকরণ , সংস্কার ও পুনর্গঠন কাজ চলছে। আগামী পহেলা জানুয়ারি ২০২১ থেকে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।'
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, 'রাজশাহীর খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালে করোনা রোগীদের সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছিল। এছাড়া রোগীর সংখ্যাও কমে যাওয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রামেকের ১৫, ২২, ২৫, ২৭, ২৯, ৩০, ৩৯, ৪০ ওয়ার্ডে অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কেবিনও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাই কোনো সমস্যা নেই। সব করোনা রোগীদেরই এখন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।'
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক গোপেন্দ্রনাথ আচার্য বলেন, 'স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই ভাড়ায় চালিত ডেডিকেটেড হাসপাতাল বন্ধ করে এখন মূল হাসপাতালগুলোতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ীই এ কাজ করা হচ্ছে। ঢাকাতেও সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে।'