রাঙামাটি শহরের কাছে তিনটি দর্শনীয় স্থান
রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর রাঙামাটি আসনে লাখো পর্যটক। তারা ঘুরে বেড়ায় পাহাড়ের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে। জেলায় অনেক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে পর্যটকরা কেউ শহরের আশেপাশে ঘুরে বেড়াতে চায়। আর কেউ পাহাড়ে উঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চায়। এজন্য প্রয়োজন হয় সময়। কম সময়ে যারা ঘুরতে চায় তাদের জন্য রাঙামাটির তিনটি দর্শনীয় স্থান;
সুবলং ঝর্ণা:
রাঙামাটি আসলে যে কেউ প্রাকৃতিক ঝর্ণা দেখতে চায়। তারা ঘুরে আসতে পারেন রাঙামাটি শহর থেকে কিছু দুরে সুবলং ঝর্ণায়। এটি রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নে হলে দুরত্ব বিবেচনায় এটি রাঙামাটি শজরের কাছে বলা যায়। প্রতিদিন হাজারো পর্যটক এ ঝর্ণায় আসে। বর্ষাকালে এ ঝর্ণায় পানিতে পুরিপুর্ণ থাকে। শীতকালে পানি কমে আসে। বর্ষাকালে ঝর্ণাগুলো আসল চেহারা ফিরে পায়। যারা ভ্রমণে বর্ষকালকে পছন্দ করেন না তারা আসতে পারেন শরৎকালে। স্থানীয়রা বলেন পাহাড় ভ্রমণের উপযোগী সময় শরৎকাল। শহৎকালে ঝর্ণার পানি পরিস্কার থাকে। পরিবেশ তখন হালকা গরম থাকায় যে কেউ ঝর্ণায় গোসল করতে চায়। তাছাড় সুবলং যেতে সুন্দর একটি নৌকা ভ্রমণ হয়। এ ভ্রমণে পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের সুযোগ হয়। সুবলং ঝর্ণায় প্রবেশের জন্য টিকিক নিতে হয়।
সুবলং যেতে হবে যেভাবে:
সুবলং যেতে হবে নৌ পথে। রাঙামাটি শহরের পর্যটন ঘাট, বনরুপা, রিজার্ভ বাজার ঘাট থেকে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করে সুবলং যেতে হবে। শহর থেকে ঝর্ণায় পৌছাতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘন্টা। নৌকার ভাড়া নেবে দেড় থেকে আড়াই হাজার থাকা। ভাড়া নির্ভর করবে নৌকার আকার অনুযায়ী। অর্থাৎ বড় নৌকার ভাড়া বেশী, ছোট নৌকার ভাড়া কম।
ঝুলন্ত সেতু:
রাঙামাটির সিম্বল বলা হয় ঝুলন্ত সেতুকে। তাই রাঙামাটি ভ্রমনে আসলে যে কেউ একবার ঝুলন্ত সেতুতে যেতে চায়। সেতুটি রাঙামাটি শহরের তবলছড়িতে অবস্থিত। সেতুটি দেখতে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ দেখতে আসে। সারা বছল এটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। তবে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেলে কোন কোন সময় এটি ডুবে যায়। তখন সেতু গেট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ অবস্থা খুব কমই হয়। বর্তমানে এটি কাপ্তাই হ্রদের পানি থেকে ২৫/৩০ ফুট উপরে আছে। সেতুতে উঠতে হলে প্রত্যক পর্যটককে টিকিট নিতে হয়।
ঝুলন্ত সেতুতে যেতে হবে যেভাবে:
রাঙামাটি শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে সেতুতে যাওয়া যায়। অটোরিক্সা রির্জাভ নিলে দুরত্ব অনুযায়ী ৫০/৮০/১০০/১২০ টাকা নেবে। ব্যক্তিগত যান থাকলে এ চিন্তা করতে হবে না।
পলওয়ে পার্ক:
রাঙামাটি পুলিশের পরিচালনাধীন রাঙামাটি পলওয়ে পার্ক। এটি শহরের ভিতরে ডিসিবাংলো এলাকায়। নতুন এ পর্যটন কেন্দ্রটি সবাইকে আকর্ষণ করে। এখানে রাত্রী যাপনের জন্য রয়েছে কটেজ। সমুদ্র ঢেউয়ের মত কাপ্তাই হ্রদের পানির ঢেউ আচড়ে পড়ে পলওয়ে পার্কের চারদিকে। এখানে রয়েছে আরেকটি ঝুলন্ত সেতু। রয়েছে লাভ লক পয়েন্ট। ভালবাসার বন্ধন অটুট রাখতে লাভ লক পয়েন্টে তালা ঝুলায় দম্পতিরা। পার্কে রয়েছে সুইমিং পুল। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক পলওয়ে পার্ক ভ্রমণ করে।
পলওয়ে পার্কে যেতে হবে যেভাবে:
রাঙামাটি শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে পার্কে যাওয়া যায়। অটোরিক্সা রির্জাভ নিলে দুরত্ব অনুযায়ী ৫০/৮০/১০০/১২০ টাকা নেবে।