রপ্তানি অব্যাহত থাকা নিয়ে আশাবাদী তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা
কোভিড-১৯ সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় সরকার আরোপিত নতুন লকডাউনে কারখানা সচল রাখা এবং রপ্তানি পণ্য ও কাঁচামালের সরবরাহ চালান অব্যাহত রাখার বিষয়ে সরকারি অনুমতি লাভের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তৈরি পোশাক মালিক এবং রপ্তানিকারকরা।
তারা বলছেন দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার বৃহৎ স্বার্থে সরকার তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) সচল রাখার অনুমতি দেবে।
শনিবার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পোশাক ও রপ্তানি খাতের নেতারা জানান, সরকার সম্ভবত আগামীকাল নাগাদ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক জানান, লকডাউন শুরু হলেও পোশাক কারখানার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তৈরি পোশাক কর্মী, কর্মকর্তা, কাঁচামাল এবং পণ্য সরবরাহে নিয়োজিত পরিবহনগুলোর নির্বিঘ্নে চলাচলের বিষয়ে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজির আহমেদ বরাবর একটি চিঠি পাঠান বিজিএমইএ সভাপতি।
বিজিএমইএ'র সাবেক পরিচালক এনভয় টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের পরিচালক কুতুবউদ্দীন আহমেদ বলেন, "আমাদের সরবরাহ চেইনে কোনো বিঘ্ন ঘটলে ক্রেতারা সে কথা বিবেচনা নাও করতে পারেন। সেইসাথে তারা অন্য দেশের দিকে ঝুঁকতে পারেন।"
বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব কারখানা প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ফজলুল হক জানান, "আমরা আশা করছি সরকার দেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করবে। কেননা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু দেশ ব্যতীত অধিকাংশ রপ্তানিকারক দেশ এখন লকডাউনে আছে।"
গত বছরের কোভিড-১৯ এর সাধারণ ছুটির কথা স্মরণ করে ফজলুল হক এবারের পরিস্থিতি শ্রেয় হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি তিনি প্রতিটি কারখানায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের উপর জোর দেন।
গত বছরের তুলনায় এ বছর অর্ডার বেশি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এখন শুধু সময় অনুযায়ী পোশাক উৎপাদন ও চালান নিশ্চিত করতে হবে।
- সংবাদটি ইংরেজিতে পড়ুন: Apparel makers hopes to keep exports open