রংপুরে রাজমিস্ত্রি ঠিকাদারকে শ্বাসরোধে হত্যা
রংপুর মহানগরীর শেখপাড়ার একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে ৬০ বছরের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।তার নাম এনতাজ আলী, পেশায় কন্সট্রাকশন কাজে নিয়োজিত রাজমিস্ত্রির ঠিকাদার।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় ইফতারের পর মোবাইল ফোন পেয়ে বাড়ি বের হয়ে হয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ মিললো। পুলিশ বলছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। ঠিকাদারী শত্রুতার জেরসহ বিভিন্ন ক্লু নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। আর পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
নিহতের স্ত্রী ইসমত আরা বেগম জানান, রংপুর মহানগরীর শেখপাড়ার বাসিন্দা মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র ষাটোর্ধ্ব এন্তাজ আলী। কাজ শেষে বৃহস্পতিবার বাড়ি এসে ইফতারের পর নামাজ শেষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। একটি ফোন পেয়ে বাইরে যান তিনি। ফোনে তাকে পাথারে (বিলে )ডাকা হয়েছিল। ওনি তখন চলে যান।রাত গভীর হওয়ায় বাড়ি ফিরে না আসায় আমরা সারারাত ধরে খুঁজি। সকালে ভুট্টা ক্ষেতে তার লাশ পাই। আমার নিরপরাধ মানুষকে যারা হত্যা করলো তাদের আমি ফাঁসি চাই।
নিহতের মেয়ে উর্মি বেগম জানান, আব্বা ফোন পেয়ে যায়। কাদের ফোন সেটি আমরা জানতে পারিনি। পুলিশ ফোন ট্র্যাকিং করলেই সব বের হয়ে আসবে। আমি জল্লাদদের ফাঁসি চাই।
নিহতের ছেলে রায়হান আলী জানান, একসাথেই কাজ করে বাড়ি আসছি। ইফতারের পর বাবা রেস্ট নিচ্ছিলেন। তখনই ফোনটি আসে। তিনি বের হয়ে যান। আর ফিরে আসেননি। আমরা খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু পাই না। এখন পেলাম লাশ। এই লাশ নিয়ে আমরা কি করবো। আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এন্তাজ আলীর পরনে ছিল লুঙ্গি ও পাঞ্জাবী। নির্মম এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি এলাকাবাসীর।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান জানান, প্রাথমিকভাবে লাশের সুরুতহাল তৈরি করে যা মনে হয়েছে।তাতে তাকে শ্বাসরোধ করেই হত্যা করা হয়েছে।পেশায় রাজমিস্ত্রির ঠিকাদারি ব্যবসার শত্রুতাসহ বেশ কয়েকটি ক্লু নিয়ে হত্যার কারণ জানতে নিবিড় অনুসন্ধান করছি পুলিশ।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এলাকার সজ্জন মানুষ হিসেবে পরিচিত এন্তাজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এভাবে হত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন নগরবাসি।