মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার দিন কোচিং-ফটোকপি মেশিন বন্ধ, করোনাবিধি মানার আহবান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল এবং বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩০ এপ্রিল তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, "দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা না নিলে জাতির এই মেধাবী মুখগুলোর ভবিষ্যত শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। এসব বিবেচনায় রেখে ২ এপ্রিলই দেশে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে গ্রহণ করা হবে"।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, ভর্তি পরীক্ষার স্বচ্ছতা ও স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখতে সরকারের পুলিশ বাহিনী, গোয়েন্দা শাখা, শিক্ষা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকল শাখা মিলে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে।
পরীক্ষার আগে যেন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে কোনো গুজব ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারেও সরকারের সংশ্লিষ্ট বিশেষ শাখাগুলো সক্রিয় থাকবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতবারের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, "গত বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার। আর এবছর ভর্তি পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১ লক্ষ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। পাশাপাশি এ বছর করোনার কারণে সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সংখ্যা ১৯টি এবং ভেন্যু সংখ্যা ৫৫টি করা হয়েছে। একই সাথে কেন্দ্রের ভেতরে পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের ও কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষামান অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে ফটোকপি মেশিনের দোকান বন্ধ রাখা, কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখাসহ অন্যান্য তৎপরতার দিকেও নজর দেয়া হয়েছে।"
করোনা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দেশবাসীকে আরো সতর্কভাবে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে চলাফেরার আহবান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "গতমাসে সংক্রমনের হার ছিল মাত্র ২ শতাংশ। সেটি গতকাল হয়ে গেছে ১৩ শতাংশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করোনার জন্য বেডের সংখ্যা আবারো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। নতুন করে আরো অন্তত ৫টি হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেডে হাসপাতাল করা হয়েছে। তবে, দেশের মানুষ যদি মুখে মাস্ক না পড়েন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলেন তাহলে করোনা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে সামলানো মুশকিল হতে পারে।"
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর-এর সভাপতিত্বে এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, পুলিশ বাহিনী প্রতিনিধি, সরকারের গোয়ান্দা শাখার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য শাখার প্রতিনিধিগণ ।