মহামারি মোকাবিলায় সাফল্য দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানে করোনাভাইরাসের মহামারি যে প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে, সেই তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনাভাইরাসের বিশ্বমারি মোকাবিলায় তিনি একে নিজ প্রচেষ্টায় অর্জিত সাফল্য বলেও উল্লেখ করেন।
আজ বুধবার (২২জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, ''বিশ্বজুড়ে ভাইরাসের সামগ্রিক মৃত্যুহার এখন ৬ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে তা ১০ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশে মৃত্যুহার মাত্র ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।''
সরকারি সূত্র অনুসারে, বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২,৭৫১ জন মারা গেছেন। মোট সংক্রমিত হয়েছেন দুই লাখ ১২ হাজার ২৫৪ জন। যার বিপরীতে সমগ্র বিশ্বে মারা গেছেন ৬ লাখ ১৯ হাজার ৮১৭ জন। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এক কোটি ৫১ লাখ ৭ হাজার ৯৪৮ জন।
জাহিদ মালেক বলেন, ''সরকারি হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এর কারণ কী! কারণ হচ্ছে, আসলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে।''
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদের সাম্প্রতিক পদত্যাগের বিষয়টি উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ''আপনারা সাংবাদিকরা বলছেন তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু, সবকিছুর একটা নিয়ম আছে। সেই নিয়ম অনুসারে তার পদত্যাগপত্র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।''
''প্রথমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালকের পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারপরই নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের কথা ভাবা হবে'' যোগ করেন তিনি।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ''বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বাংলাদেশেই সবচেয়ে কম মানুষ মারা যাচ্ছেন। অবশ্যই এটি একটি ভালো খবর।''
''বিশেষ করে, ঢাকায় কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বহুলাংশে কমেছে। বর্তমানে শুধু ঢাকাতেই ৩ হাজারের বেশি কোভিড শয্যা খালি আছে।''
এর আগে গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদ তার পদত্যাগপত্র জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে সে প্রসঙ্গেই এসব কথা জানান জাহিদ মালেক।