ভারত থেকে ফিরলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন
ভারত থেকে আটকে পড়া কোনো বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বিশেষ বিবেচনায় দেশে ফিরলেই তাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন তাদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করবে।
শুধুমাত্র ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশিরা ভারতের কলকাতা এবং দিল্লীতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের অনুমতি বা অনাপত্তি ছাড়পত্র নেওয়া সাপেক্ষে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
স্থল, নৌ ও বিমানযোগে যে কোনো ব্যক্তি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের (পণ্য পরিবহন ছাড়া) ক্ষেত্রেই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এর আগে, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, জরুরি অবস্থার প্রেক্ষিতে কলকাতা এবং দিল্লীতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট প্রদর্শনের মাধ্যমে বাংলাদেশিরা দেশে প্রবেশ করতে পারবেন।
করোনার সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ২৬ এপ্রিল থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। এ সময় দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত বন্ধ থাকলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য কার্যকর থাকবে।
ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে স্বাস্থ্য বিধি বজায় রেখে স্যানিটাইজ করতে হবে। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে উভয় দেশের মধ্যে পণ্য রপ্তানি ও আমদানির জন্য রেলপথের ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৫ই মে পর্যন্ত কেবল আটটি দেশ হতে যাত্রীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।