বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলবে
যাত্রীদের প্রয়োজনের গুরুত্ব পর্যালোচনার আলোকে বিশেষ বিবেচনায় সরকার বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল চালুর অনুমতি দিয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
বেবিচক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস এবং চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের বিমানে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচলের অনুমতি দিয়েছে।
গত ১৬ এপ্রিল তারিখে বেবিচকের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকর করা হবে এবং ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বহাল থাকবে।
তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্তাবলী আরোপিত হবে। কেবল পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট যাত্রী বহন করা হবে। .সকল আগত এবং বহির্গামী যাত্রীদের অবশ্যই যাত্রা শুরুর ৭২ ঘন্টার ভিতর সম্পন্ন পিসিআর-ভিত্তিক কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ উপস্থাপন করতে হবে। ভ্যাকসিন নিলেও কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে।
বাংলাদেশে আগত সকল যাত্রীকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হোটেল বা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ব্যয়ে চৌদ্দ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিটি যাত্রীর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পরেই বিমান সংস্থা বোর্ডিং পাস প্রদান করবে।
বিমানের টিকিটের ভাড়া স্বাভাবিক রাখতে হবে। ফ্লাইটগুলোর জন্য গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক চার্জ শিডিউলড যাত্রী বিমান হিসাবে আরোপ করা হবে।
এর আগে, করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে বাংলাদেশ সরকার সমস্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয়।