বাস ভাড়া: বিআরটিএ বাড়াতে চায় ২৮%, মালিকদের দাবি ৪১%
সকল গণপরিবহনের ভাড়া ৪০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধির দাবি করেছেন পরিবহন মালিক ও সমিতির নেতারা।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে রোববার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানান তারা।
বর্তমানে আন্তঃনগর যাত্রীদের প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নির্ধারিত রয়েছে ১.৪২ টাকা।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির সাথে সমন্বয় রেখে বিআরটিএ প্রতি কিলোমিটারে ৪০ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
তবে পরিবহন মালিকরা পাল্টা প্রস্তাবে দূরপাল্লার বাসগুলোর জন্য ৪০.৮৫% বাড়িয়ে ৫৮ পয়সা/কিমি ভাড়া বৃদ্ধির দাবি করেছেন।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ; বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ; গোলাম রহমান, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান; বিটিআরসির পরিচালক (অপারেশনস) শুকদেব ঢালী প্রমুখ।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় গত বুধবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ১৫ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন মালিকরা।
ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
রাজধানীতে বিআরটিসির দ্বিতল বাসগুলো চালু থাকলেও প্রায় দেড়গুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। বাস না চলায় অফিসগামী লোকজনকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশা, সিএনজি কিংবা প্রাইভেট কারে চলাচল করতে হয়েছে। আবার অন্যান্য বাহনে অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকানোয় হেঁটেই গন্তব্যে রওয়ানা দিয়েছেন অনেকে।
এছাড়াও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শাকসবজিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিক্রেতা ও বিশেষজ্ঞরা। সে আশঙ্কা সত্য প্রমাণ করে দুদিন ধরে চড়া যাচ্ছে সবজির দাম।