বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহ করবে কাতার পেট্রোলিয়াম

দেশের বৃহত্তম গভীর সমুদ্র তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) টার্মিনাল তৈরির দায়িত্ব পাওয়া ডাচ প্রতিষ্ঠান ভিটলের সঙ্গে সম্প্রতি দীর্ঘমেয়াদি এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে কাতার পেট্রোলিয়াম। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের ভিটলের গ্রাহকদের জন্য বার্ষিক ১২ লাখ ৫০ হাজার টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করবে কাতার পেট্রোলিয়াম।
গত সোমবার প্রকাশিত প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, চুক্তি অনুযায়ী এবছর থেকেই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে।
কাতারের জ্বালানি মন্ত্রী এবং কাতার পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাদ বিন শেরিদা আল কাবি এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
"ভিটলের সঙ্গে এ ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি (এসপিএ) স্বাক্ষর করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে ভবিষ্যতেও এ চুক্তির আওতায় এনএলজি সরবরাহ অব্যাহত রাখবো আমরা," বলেন আল কাবি।
"আমাদের অংশীদার ও গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে আমাদের সক্ষমতার নির্দেশক এ চুক্তি। বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়ত আমাদের অংশীদার ও গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পেরে আমরা গর্বিত," যোগ করেন তিনি।
নেদারল্যান্ড ভিত্তিক জ্বালানি ও লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ভিটল বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাধীন তেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, এর বার্ষিক আয় অ্যাপলের কাছাকাছি।
ব্লুমবার্গের তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন গড়ে ৮০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ করেছে। বিশ্বজুড়ে জ্বালানির চাহিদা বাড়ায় ভিটল প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবসাও শুরু করেছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ গ্যাসের যোগান প্রতিনিয়ত কমে আসায় ভারত-পাকিস্তানের মতো এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এলএনজি আমদানিকারক দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বর্তমানে বাংলাদেশের দুটি ভাসমান টার্মিনাল ও পুনঃ গ্যাসে রূপান্তরকরণ ইউনিট (এফএসআরইউ) আছে, প্রতিদিন ২ কোটি ৮০ লাখ কিউবিক মিটার গ্যাস ও বছরে প্রায় ৭৫ লাখ টন গ্যাস উৎপাদনের সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের।
২০১৯ সালে ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল ও কাতারগ্যাসের সাথে দুটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করেছিল।
- সূত্র: আল জাজিরা