বরিশালের ঘটনায় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের বৈঠক, 'ভুল বোঝাবুঝি'র অবসান
বরিশালে ইউএনও'র বাসভবনে হামলার ছয় দিন পর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে এক বৈঠকের আয়োজন করেন বিভাগীয় কমিশনার। বৈঠক শেষে এ ঘটনা 'ভুল বোঝাবুঝি' ছিল জানিয়ে সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে জানান তারা।
মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের করমকর্তাদের মধ্যে এ বৈঠক হয়।
"আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল," বলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন। বৈঠকের পর তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নিরসন হয়েছে বলে জানান তিনি। বৈঠকের উপস্থিত সবাই এ ঘটনাকে আর সামনে না বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হন।
এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে আর না ঘটে ও শহরে শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন একত্রে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
"কমিশনার আমাদের চা-পার্টির জন্য তার বাসভবনে নিমন্ত্রণ করেন। তবে তিনি আমাদের রাতের খাবার খেতে বলেন। নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে আমাদের," যোগ করেন তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বরিশাল নগর পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক এস এম আক্তারুজ্জামান, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন মাহমুদ, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর হোসাইন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিস প্রাঙ্গণ থেকে কিছু ব্যানার অপসারণ করাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কয়েক ডজন কর্মী ইউএনওর বাসভবনে হামলা চালায়। সেই সংঘর্ষের পর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করে মোট ৯৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ইউএনও এবং পুলিশ।