বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন

মুজিব পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন
ডেইলি টেলিগ্রাফ
তার গাল বেয়ে অশ্রু ঝরছে। শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল (১০ জানুয়ারি ১৯৭২) ঢাকা রেসকোর্সে দশ লক্ষ মানুষের সমাবেশে বললেন, তার নতুন দেশ বাংলাদেশ এখন স্বাধীন এবং অনন্তকাল তা স্বাধীন থাকবে।
সপ্তাহান্তে পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দিল্লি হয়ে ঢাকায় অবতরণ করার পর তিনি বিপুল সংবর্ধনা পেয়েছেন। স্বভাবতই তিনি খুব ক্লান্ত, তার ৪০ মিনিটের বর্ক্তৃতার বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি প্রায়ই ভেঙে পড়ছিলেন। তিনি বললেন, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো এত লক্ষ লক্ষ মানুষকে আত্মবিসর্জন দিতে হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে এবং জাতিসংঘে স্থান নিশ্চিত করতে সব দেশের এগিয়ে আসা উচিত। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো যে বিশেষ যোগসূত্র প্রত্যাশা করেছেন, তা কখনো হবার নয়। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের যে পুরোনো বন্ধন ছিল, তা চিরতরে ছিন্ন হয়ে গেছে।
শেখ মুজিব ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ 'সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মানিরপেক্ষতা' ধারণ করবে; তার মানে পাকিস্তানের মুসলিম রাষ্ট্রের ধারণা পরিত্যক্ত হলো।
তিনি রুমাল দিয়ে চোখ মুছে পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে বললেন, 'তোমরা আমার দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছ, আমাদের মা-বোনদের বেইজ্জতি করেছ, অসংখ্য ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছ, এক কোটি মানুষকে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছ। তারপরও তোমাদের প্রতি আমি কোনো ঘৃণা লালন করি না। তোমাদের স্বাধীনতা তোমাদের কাছে থাকুক। আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের থাকতে দাও।'
তার নিজের দেশের জনগণের 'অবিশ্বাস্য সহায়তার জন্য তাদের ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বললেন পয়ত্রিশ লক্ষ (থ্রি অ্যান্ড অ্যা হাফ মিলিয়ন) মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। গণহত্যার জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার হতে হবে। আমি আশা করি আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে এ বিচার করা হবে।'
তার প্রহসনের বিচারে যে সব বাঙালি সাক্ষ্য দিয়েছে, সেসব দালাল প্ররোচনাকারী এবং যোগসাজশকারীদেরও শাস্তি হবে। কিন্তু জনগণ অবশ্যই আইনকে নিজেদের হাতে তুলে নেবে না।
তিনি কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বান জানান এবং সরকারি কর্মচারিদের সতর্ক করে দেন, 'ঘুষ নেবেন না, আমি এটা কখনও সহ্য করব না।'
মিসেস গান্ধী ও ভারত সরকারকে সহায়তার জন্য 'আন্তরিক ধন্যবাদ দিলেন। দেশের 'পবিত্র ভূমি'তে পা রাখার আবেগে তিনি বললেন, 'সারাক্ষণ আমার মনে এই চিন্তাই ঘুরপাক খেয়েছে, আমি কি কখনো আমার সোনার বাংলায় ফিরে যেতে পারব? তারা আমার কবর খনন করে রেখেছিল। এটা আল্লাহর রহমত যে আজ আমি এখানে আসতে পেরেছি।'
কূটনীতিবিদদের মধ্যে চীনের কনসাল জেনারেল অনুপস্থিত ছিলেন; তবে এটা লক্ষ্যণীয় ছিল যে আমেরিকান কনসাল স্পিভাক সেখানে ছিলেন। ব্রিটিশ এমপি জন স্টোনহাউস (শ্রমিক দল, ওয়েডনেসবারি থেকে নির্বাচিত) মে উপস্থিত ছিলেন।
রয়াল এয়ারফোর্সের যে কমেট বিমানে তিনি ঢাকা অবতরণ করেন, মানুষের বাধা না মানা জোয়ারের কারণে তাকে নেমে অভ্যর্থনা পর্যন্ত পৌঁছতে ১২ মিনিট লেগে যায়। তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার রে ব্রিটেন, রুশ কনসাল ও অন্যান্য কূটনৈতিক প্রতিনিধি।
তার স্ত্রী এবং দুই পুত্র কিছু সময়ের জন্য জনতার মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত উইন্ডস্ক্রিনে বুলেটের ছিদ্র থাকা পুলিশের একটি লরিতে তিনি রেসকোর্স পৌঁছেন।
জনসভার পর শহরতলীর বাড়িতে শেখ ও তার পরিবারবর্গের সাথে আবেগময় পুণর্মিলন ঘটে। বন্ধুদের ছড়ানো ফুলের পাপড়ি গায়ে নিয়ে তিনি তার দুই কন্যাকে আলিঙ্গন করেন।
তারপর তিনি তার ৯০ বছর বয়ষ্ক পিতার সামনে হাঁটু গেড়ে তার পা স্পর্শ করেন। যখন তার ৮০ বছর বয়সী মা প্রবেশ করলেন, তিনি অলিঙ্গন করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
- ক্লেয়ার হোলিংওয়ার্থ, ডেইলি টেলিগ্রাফে ১১ জানুয়ারি ১৯৭২ প্রকাশিত

ভারতের সাথে অনন্ত মৈত্রী
নিউইয়র্ক টাইমস
নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি
শেখ মুজিবুর রহমান উৎফুল্ল ভারতীয় জনতার উদ্দেশ্যে বললেন, তার এবং তাদের দেশ ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধুত্বের বন্ধনে চিরদিনের জন্য আবদ্ধ থাকবে।
তার অনুসারীরা পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে। নয় মাসের বেশি সময় পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকার পর নিজ দেশের মানুষের সাথে পুনর্মিলনের উদ্দেশ্যে ঢাকা যাবার পথে কয়েক ঘণ্টার জন্য তিনি নয়া দিল্লিতে যাত্রা বিরতি দিয়েছেন। তিনি তার যাত্রা বিরতি সম্পর্কে বললেন, 'আমাদের সবচেয়ে ভালো বন্ধুকে ব্যক্তিগতভাবে আমার কৃতজ্ঞতা জানাতে এইটুকু তো আমি করতেই পারি।'
তিনি বললেন, 'আমাদের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে ভারতের জনগণ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরা কখনো তা ভুলব না।'
শেখ মুজিব এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী- যাদের আগে কখনো দেখা হয়নি, সানন্দে এয়ারপোর্ট থেকে জনসভাস্থল এবং প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে যাবার পথে এবং এয়ারপোর্টে ফেরার পথে পরস্পরের এবং পরস্পর উভয় দেশের জনগণের প্রশংসা করলেন।

সহস্র করতালি: মোটরক্যাডে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে যাবার পথে হাড় কাঁপানো শীতে আট মাইল দীর্ঘ পথে হাজার হাজার মানুষ হাততালি দিয়েছে আর নিচু উচ্চতায় উড়ে যাওয়া একটি উড়োজাহাজ থেকে তাদের ওপর গোলাপের পাঁপড়ি বর্ষণ করা হয়েছে। শেখ মুজিবকে মুক্তি দেবার পর, দু'দিন আগে পাকিস্তান সরকার তাকে লন্ডন পাঠিয়ে দিয়েছে, সেখান থেকে ব্রিটিশ রয়াল এয়ারফোর্সের কমেট উড়োজাহাজ তাকে বহন করে যথাসময়ে সকাল আটটায় নয়া দিল্লির পালাম বিমান বন্দরে অবতরণ করেছে।
তিনি যখন বিমান থেকে বেরিয়ে এলেন, 'জয় বাংলা' ধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হলো, তিনি ডান হাত নেড়ে জবাব দিলেন। নিকটবর্তী মাঠে গোলন্দাজ কামান থেকে তাকে ২১ বার তোপ ধ্বনির স্যালুট করা হলো এবং গোলন্দাজ সৈনিকরা টারমাকের আনুষ্ঠানিকতার জন্য অবস্থান নিল।
শেখ মুজিবের পরনে খোলা নেহেরু কলার কালো স্যুটের ওপর কালো কোট। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি এবং অন্যান্য ভারতীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তাগণ তাকে অভিবাদন জানালেন, মিসেস গান্ধী ও অন্যরা তাকে গাদা ফুলের মালা পরিয়ে দেন।
জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠল: একটি গুর্খা ব্যান্ড যখন ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজাচ্ছে, বাঙালি নেতা একটি ছোট প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে স্যালুট করে সম্মান জানান। দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীতই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা।
১৫০ জন সেনা সদস্যের গার্ড অব অনার পরিদর্শন করে শেখ মুজিব পাঁচ মিনিটের একটি ভাষণে ভারতের জনগণের কাছে, মহাময়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন, কারণ তারাই এই সফরকে সফল করে তুলেছেন- অন্ধকার থেকে আলোর দিকে সফর, বন্দিদশা থেকে মুক্তির সফর, হতাশা থেকে আশার সফর।
তিনি বললেন, 'আমি শেষ পর্যন্ত আমার স্বপ্নের সোনার বাংলায় ফিরে যাচ্ছি, আমি লক্ষ লক্ষ বিজয়ীর হাসির সূর্যালোকে ফিরে যাচ্ছি, আমি ফিরে যাচ্ছি মুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে'।
শেখ মুজিবকে ফ্যাকাশে ও ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। তার ছ'ফুট লম্বা, একদা বলশালী শরীর এখন শুকনো, তার সহযোগীরা বলেছেন, কারাগার তিনি ৪০ পাউন্ডেরও বেশি ওজন হারিয়েছেন। কিন্তু তার কণ্ঠ নিজস্ব আবেগ ও অনুভূতি হারায়নি, তবে দুর্বল হয়ে পড়েছে।

ভারতের কাছে অনেক কূটনীতিবিদ: এয়ারপোর্টে উপস্থিত ছিলেন কুড়িটিরও বেশি দেশের প্রতিনিধি, তাদের অধিকাংশই রাষ্ট্রদূত। সোভিয়েত ঘারানার দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বই বেশি। ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইতালি, পশ্চিম জার্মানি, নরওয়ে এবং ডেনমার্কের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আশা করা যাচ্ছে এসব দেশের কয়েকটি বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে এগিয়ে আসবে। এখন পর্যন্ত কেবল ভারত এবং ভুটানই স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
এয়ারপোর্টের আনুষ্ঠানিক উৎসবে অনুপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি। যুক্তরাষ্ট্র নয় মাসের সঙ্কট এবং পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে। এটা বোঝা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কেনেথ বি কিটিং হাজির না থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিদের্শনা পেয়েছেন। (প্রকৃতপক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকান কনসাল জেনারেল স্পিভাক রেককোর্সেও সভায় উপস্থিত ছিলেন।)

এয়ারপোর্টের অনুষ্ঠানের পর শেখ মুজিব জনসমাবেশে ইংরেজিতে কথা বলতে শুরু করে দিলেন। তিনি কেবল 'লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান' না বলতেই জনতা চিৎকার করে তাকে বাংলায় বলতে অনুরোধ জানায়। হেসে তিনি তার মাতৃভাষায় বক্তৃতা শুরু করলে জনতা চিৎকার করে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করে।
তিনি তাদের ভাই এবং বোন বলে সম্বোধন করেন এবং তাদের কাছে, মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর কাছে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন; কারণ তারা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে তার দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে এবং তার মুক্তি তরান্বিত করেছেন।
তিনি বলেন, তার দেশ ভারতের মতো একই নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হবে- বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে।
- সিডনি এইচ শনবার্গ, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ১১ জানুয়ারি ১৯৭২

- অনুবাদ: আন্দালিব রাশদী
টীকা
- সিডনি এইচ শনবার্গ : ২৫ মার্চ ১৯৭১ যে কজন বিদেশি সাংবাদিক ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নির্মম নারকীয় যজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেছেন, সিডনি শনবার্গ তাদের অন্যতম। তার জন্ম ১৭ জানুয়ারি ১৯৩৪; আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ক্লিনটন শহরে। এ জুলাই ২০১৬ তিনি নিউইয়র্কে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি একাত্তর-বাহাত্তরে নয়া দিল্লিতে নিউইয়র্ক টাইমস-এর ব্যুরো চিফ ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মতো ঘটনার তিনি যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন, তা বিশ্বকে বাংলাদেশ সম্পর্কে অবহিত ও সচেতন করেছে। খেমাররুজদের নির্মম কম্বোডিয়া শাসন নিয়ে তার কাভারেজ সিডনি শনবার্গকে এনে দেয় ১৯৭৬-এর পুলিৎজার পুরষ্কার। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ বান্ধব বিদেশি সাংবাদিকদের তিনি অন্যতম।
- ক্লেয়ার হোলিংওয়ার্থ: ১৯৭১-এর আগস্টে যখন ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বোমা বর্ষিত হয়, ক্লেয়ার হোলিংওয়ার্থ তখন এই হোটেলেইঅবস্থান করছিলেন। তিনি নৌকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দেখা করেছেন, তাদের আত্মবিশ্বাস দেখে বলেছেন, বাংলা স্বাধীন হবেই। তার জন্ম ১০ অক্টোবর ১৯১৯, ইংল্যান্ডে। ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি ১০৬ বছর বয়সে হংকংয়ে মৃত্যুবরণ করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ব্রেকিং নিউজটি তিনিই পৃথিবীকে জানিয়েছিলেন। ক্লেয়ার বাংলাদেশ বান্ধব আরেকজন বিদেশি সাংবাদিক।
- স্পিভাক: হারবার্ট ডেভিড স্পিভাকের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে ১৯১৭ সালে। ২০০৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়াতে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯১৭ সালে আর্চার ব্লাডকে প্রত্যাহার করার পর তিনি কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ছিলেন।
- বাংলাদেশ: অনূদিত রচনায় বাংলাদেশ একত্রে লেখা হলেও তখনকার প্রচলিত নিয়মে বাংলা ও দেশ পৃথকভাবে লেখা হতো, ইংরেজিতে Bangla Desh লেখা হতো।