প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা পরিকল্পনায় ১৪ জঙ্গির ‘ফায়ারিং স্কোয়াডে’ মৃত্যুদণ্ড
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সমাবেশস্থলে বোমা রাখার ঘটনায় দায়ের করা এক মামলায় ১৪ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 'ফায়ারিং স্কোয়াডে' তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সমাবেশস্থলে ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা রাখা হয়।
পরের দিন ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় কোটালিপাড়া পুলিশ স্টেশনের তৎকালীন সাব-ইন্সপেক্টর নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মফিজুর রহমান, মাহমুদ আজহার, রাশেদুজ্জামান, তারেক, ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম খান।
এর আগে, গত ১১ মার্চ ট্রাইবুনাল এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ হিসেবে আজকের দিন নির্ধারণ করেন।
বোমা উদ্ধারের ঘটনায় হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন ও হত্যা পরিকল্পনার দায়ে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
দুটি মামলার রায় ইতোমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। ২০০৪ সালে আদালত ওই ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলায় ৫০ প্রত্যক্ষদর্শীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।