প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট চালু করলো রেলওয়ে
পানির অপচয় কমাতে এবং ট্রেন দোয়ার ক্ষেত্রে সময় বাঁচাতে প্রথমবারের মতো দুটি স্বয়ংক্রিয় ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সোমবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন একটি প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন। আর রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে অন্য প্ল্যান্টটির উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে হওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, নতুন প্ল্যান্টে ১৪ বগির একটি ট্রেন ধৌত করতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১০ মিনিট। বর্তমান পদ্ধটিতে একটি ট্রেন ধুতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রথাগত পদ্ধতিতে একটি ট্রেন ধুতে কমপক্ষে ২০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর প্রয়োজন হয়। স্বয়ংক্রিয় এই পদ্ধতির কারণে আর সেটির প্রয়োজন হবে না।
রেলওয়ে একটি পরিত্যক্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, "তবে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটি আবার পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।"
মন্ত্রী বলেন, দেশের সব জেলার সঙ্গে রেলপথের সংযোগ স্থাপন, মিয়ানমার হয়ে ভারতের সঙ্গে এবং চীনের সঙ্গে সমস্ত সংযোগ পুনরায় চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় একটি ট্রেন ধোয়ার জন্য প্রায় ১০ হাজার লিটার পানির প্রয়োজন হয়, যেখানে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় মাত্র ৪ হাজার লিটার পানি ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, প্ল্যান্টটি ট্রেন ধোয়ার জন্য ব্যবহৃত বেশিরভাগ পানি পুনর্ব্যবহার করতে সক্ষম, এইভাবে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত জল সাশ্রয় করা যাবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেন, আরামদায়ক, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে রেলওয়ে সব ত্রুটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমলাপুর প্ল্যান্টটি মিটারগেজ লাইনে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর জন্য ডেডিকেটেড, আর রাজশাহী প্ল্যান্টটি ব্রডগেজ রেলে চলাচলকারী ট্রেনগুলোর জন্য।