প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনে ৭৭ টাকা লাভ করেছে বেক্সিমকো
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কিনে নেওয়া প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনে সংশ্লিষ্ট সব খরচ বাদ দিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের লাভ হয়েছে ৭৭ টাকা।
সেরাম ইনস্টিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আমদানির চুক্তিবদ্ধ একমাত্র কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা।
শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে এ বছরের প্রথম তিন মাসের অডিটবিহীন আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বেক্সিমকো ফার্মা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ডিএসই'র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ মাসে সরকারকে ৫০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করে মোট ৩৮.৩৭ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে কোম্পানিটি।
সংশ্লিষ্ট সব খরচ বাদ দিয়েই এ লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনে লাভ হয়েছে ৭৬.৭৪ টাকা।
বেক্সিমকো ফার্মার প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী নেওয়াজ আজ সকালে সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেন, "এটি সত্য যে আমরা এখন পর্যন্ত সরকারকে জানুয়ারি-মার্চ মাসে ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছি। এ হিসাবে ৫০ লাখ ডোজের হিসাব করা হয়েছে। বাকি ২০ লাখের ডোজের লাভের হিসাব এপ্রিলের হিসাবে যাবে,"
বাংলাদেশ সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মার ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে এ ভ্যাকসিন আমদানি করা হচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমদানি করবে বেক্সিমকো ফার্মা। কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাকসিন এনে সরকারকে দেয় বেক্সিমকো।
যদিও ছয় মাসের মধ্যে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার কথা ছিল, সম্প্রতি ভ্যাকসিন আমদানি স্থগিত করেছে ভারত।