নাসিরনগরে প্রথম নারী চেয়ারম্যান পুতুল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন এই অঞ্চলে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা পুতুল রানী দাস। এর আগে, টানা চারবার নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
তার এই জয়ে এবার প্রথম নারী চেয়ারম্যান পেল নাসিরনগর সদর ইউনিয়নবাসী। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ৪ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মো. আব্দুল আহাদ পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৮ ভোট।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পুতুল রানী দাসকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ। তবে প্রথমে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাশেমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু, আলোচিত নাসিরনগর সাম্প্রদায়িক হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় এ মনোনয়ন নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
পরবর্তীতে হাশেমের মনোনয়ন বাতিল করে পুতুল রানী দাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে, এর মধ্যে একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন পুতুল রানী দাস।
এমনকি, তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলেন।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর পুতুল রানী দাস বলেন, "প্রথমবারের মতো আমি চেয়ারম্যান হয়েছি। আবার নাসিরনগর সদরেরও প্রথম নারী চেয়ারম্যান। এ আনন্দ-অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমার ওপর আস্থা রেখে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।"
"নারীদের সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনেক কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি চেষ্টা করব প্রধানমন্ত্রীর সম্মান অক্ষুণ্ণ রেখে নিজের সবটুকু দিয়ে জনগণের পাশে থাকতে," বলেন তিনি।