দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যু

দেশে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজন বৃদ্ধ মারা গেছেন। তিনি প্রবাসফেরত একজনের স্বজন। এছাড়া নতুন করে আরও চারজন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ছিল ৭০ বছরের উপরে এবং তিনি ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ আরও বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন।
আইইডিসিআর পরিচালক আরও বলেন, এটা খুবই দুঃসংবাদ যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিদেশ থেকে আসা একজনের আত্মীয়।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা জানান, মঙ্গলবার ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পুরনো ১০ জনসহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৪ জন। এদের মধ্যে চারজনের শারীরিক অবস্থা একটু খারাপ। এরা আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। এদের একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, আরেকজন উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি ডায়াবেটিকে আক্রান্ত, তৃতীয় জন কিডনি রোগে ভুগছেন আর অন্যজনের স্ট্রোকের হিস্ট্রি রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে ৪ হাজার ৮৫৭ জন কল করেছেন। তাদের মধ্যে করোনা নিয়ে কথা বলেছেন ৪ হাজার ৬৪২ জন। বার বার নিষেধ করার পরও আইইডিসিআরে ২৫ জন স্বশরীরে এসে উপস্থিত হয়েছেন।
আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, মার্কেটে না যাওয়া ও গণপরিবহনে না চড়ার জন্য সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে সবাইকে জীবনযাপনে শিষ্টাচার মানতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
হটলাইনে যোগাযোগে সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ ব্যবস্থা সহজ করতে ইমেইলে বক্তব্য জানানো যাবে। পাশাপাশি ফেসবুক পেজ চালু করে গণমাধ্যমে জানানো হবে। মেসেঞ্জারের ইনবক্সে সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারবেন ভু্ক্তভোগীরা। এছাড়া ওয়েবসাইট খোলারও কাজ চলছে।
প্রয়োজন ছাড়া হটলাইনে ফোন না দিতে অনুরোধ জানান আইইডিসিআর পরিচালক।
বৈশ্বিক এই মহামারির দাপট কিছুতেই কমছে না। বিশ্বজুড়ে বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ওয়ার্ল্ডোমিটারের লাইভ তথ্যমতে বিশ্বব্যাপী বুধবার বিকেল পর্যন্ত সারা বিশ্বে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ৫৬৭ জন। মাস দুয়েক আগে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ওয়েবসাইটটি জানাচ্ছে, এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন ৮২ হাজার ৮৬৬ জন। বলা বাহুল্য, এ সবই অফিসিয়াল তথ্য। প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।