দরজা-জানালা বিহীন পরিত্যক্ত ভবনে ভোটগ্রহণ
ভবনে দরজা-জানালা নেই, আছে ধসে পড়ারও ঝুঁকি। ঘোষণা দিয়ে এমন পরিত্যক্ত এক ভবনেই দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ হয়। পরিত্যক্ত এ ভবনে কাজ করতে গিয়ে আতঙ্কে ছিলেন ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ভোটাররা।
ভোটকেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট কোহিনুর আক্তার জানান, চাপরতলা ইউনিয়নের তারাউল্লা ও বড়ইবাড়ী গ্রাম নিয়ে ৬নং ওয়ার্ড গঠিত। এ ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ৯৬৯ জন।
"দরজা-জানালা বিহীন এবং ধসে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা দীর্ঘদিনের পুরনো পরিত্যক্ত ভবনে ভোট দিতে এসে হতবাক হয়ে পড়েছিলেন ভোটাররা," বলেন কোহিনুর আক্তার।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের চারপাশ আবর্জনা ও মলমূত্রে ভরা ছিল। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাকে রুমাল চেপেও দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।
কেন্দ্রটিতে ভোট দিতে আসা তারাউল্লা গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা এমন "পরিত্যক্ত" ও "নোংরা" ভবনকে ভোটকেন্দ্র করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে কেন্দ্র করার আগে ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবা প্রয়োজন ছিল।
ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কানু ধন শীল বলেন, পরিত্যক্ত ভবনটিতে চারটি বুথ রাখা হয়। কিন্তু কেন্দ্রটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় ভোটগ্রহণে নিয়োজিতদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছে। উপায় না পেয়ে নোংরা ভবনেই ভোটগ্রহণ করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, "ওই ওয়ার্ডটিতে আর কোনো স্কুল নেই। আর এক ওয়ার্ডের কেন্দ্র অন্য ওয়ার্ডে নেওয়ারও সুযোগ নেই। সেজন্য পরিত্যক্ত ভবনটিকেই ভোটকেন্দ্র করতে হয়েছে।"
উল্লেখ্য, চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ২০০৯ সালের পর থেকে পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন তৎকালীন ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন ভূইয়া। আর ভবনের জায়গাটি নিয়ে জটিলতা থাকায় সেখানে নতুন ভবনও করা যাচ্ছে না।