থমথমে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পুলিশ-এলাকাবাসীর সংঘর্ষে চার জন নিহতের ঘটনায় পুরো এলাকায় বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। অতিরিক্ত র্যাব, পুলিশ, আইন শৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী টহলরত অবস্থায় আছে।
ভোলা মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাশ্ববর্তী জেলা থেকে ভোলায় অতিরিক্ত দু’শতাধিক পুলিশ আনা হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি সেখানে চার প্লাটুন বিজিবি ও এক প্লাটুন কোস্ট গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক জানান, গতকাল আটককৃতদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫০০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় মুসলিম ঐক্য পরিষদের পূর্ব নির্ধারিত প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে না। সংগঠনের অন্যতম নেতা মাওলানা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তারা সমাবেশ করছেন না।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ভোলা প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনের নেতারা সোমবারে প্রতিবাদ সভা ঘোষণার পাশাপাশি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন।
দাবিগুলো হচ্ছে- ছয় দফা দাবি হলো: ১. জেলা ও থানা থেকে এসপি এবং ওসিদের প্রত্যাহার করতে হবে
২. ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করার অনুমতি দিতে হবে
৩. আহত লোকজনের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে
৪. নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে হবে
৫. অভিযুক্ত বিপ্লব চন্দ্র শুভর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ফাঁসি দিতে হবে এবং
৬. গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে
সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন প্রতিবাদ সমাবেশ করতে না পারায় তারা সকাল সাড়ে ১০ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের কর্মসূচি জানাবেন।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকের এক আইডি থেকে মহানবী (স.) কে উদ্দেশ্য করে করা কথিত ‘কটুক্তি’র জের ধরে রবিবার (২০ অক্টোবর) তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়।পরে পুলিশ এসে সমাবেশ তাড়াতাড়ি শেষ করার নির্দেশ দিলে ঘটনাস্থলে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে ৪ জন নিহত হন এবং আহত হন প্রায় শতাধিক।