থমকে গেছে রাজধানীর জীবনযাত্রা

বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'মাত্র ১৪ দিন আলাদা থাকুন। আপনার পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী, এলাকাবাসী ও সর্বোপরি দেশের মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য এসব নির্দেশনা মেনে চলা প্রয়োজন। যতদূর সম্ভব ঘরে থাকবেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না। বাইরে জরুরি কাজ সেরে বাড়িতে থাকুন।'

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতেই এই নির্দেশনা। আজ বৃহস্পতিবার থেকে সামাজিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে ঢাকার রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে এ সময়। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় থাকতে দেওয়া হবে না কাউকে।

এর আগে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'আজ থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের ছুটি বা সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং আদালতের জন্য প্রযোজ্য। সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি কার্যাবলির জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।'
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন পর্যায়ে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। এদিকে, পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে লোকজন যেন রাস্তায় বের হতে না পারে।

অন্যদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, রাস্তায় টহল নয়, বরং বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নাগরিকদের সঙ্গনিরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা