ঢাকায় পাকিস্তানের নাগরিকের ৬ বছর কারাদণ্ড
৮০ লাখ ভারতীয় জাল রুপি বহনের দায়ে পাকিস্তানি নাগরিক মো. এমরানকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
মো. এমরান পাকিস্তানের করাচির আব্দুল গাফফারের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিকে ছয় বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি কাতার এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দোহা থেকে ঢাকায় আসেন এমরান। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তার গতিরোধ করেন। এ সময় তারা আসামির লাগেজ স্ক্যান করে ৮০ লাখ ভারতীয় রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা) জব্দ করেন। পরে বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা যায় আসামির বহন করা রুপিগুলো জাল।
পরের দিন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে ঢাকার বিমানবন্দর থানায় এমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলা তদন্ত করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এসআই ইলিয়াছ মোল্যা ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর ইমরানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত আট সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তাহমীনা আক্তার হাশেমী।