ট্রেন আটকে ট্রেনের দাবি
সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি ও নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেনের দাবিতে কর্মসূচি চলাকালীন ট্রেনটি স্টেশন অতিক্রম করার সময় তা আটকে দিয়েছেন স্থানীয়রা।
এই দুই দাবিতে শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন বিভিন্ন পেশার কয়েকশো মানুষ। এসময় ট্রেনটি স্টেশন অতিক্রম করার সময় তা আটকে দেন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া লোকজন।
পরবর্তীতে নাগরিক ফোরামের নেতৃবৃন্দদের অনুরোধে বিক্ষুব্ধরা রেললাইন থেকে সরে গেলে ১০ মিনিট পর ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যায়।
জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, জেলা জাসদের সভাপতি আকতার হোসেন সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আবদুন নূর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ট্রেনে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। দিন-দিন যাত্রী সংখ্যা বাড়লেও সেবার মান বাড়ছে না। যাত্রী সংখ্যার বিপরীতে টিকিট সংখ্যা খুবই অপ্রতুল। আর কাউন্টার থেকে যে পরিমাণ টিকিট ইস্যু করা হয় তার সিংহভাগ চলে যায় কালোবাজারিদের হাতে। ফলে বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে যাত্রীদের টিকিট মূল্যের দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হয় টিকিট। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেনের দাবি জানান বক্তারা। এছাড়াও বক্তারা সিলেট-ঢাকা এবং চট্টগ্রাম- ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর কালনি এক্সপ্রেস ও বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের দাবি জানান। এর ব্যত্যয় হলে জেলার সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারীও দেন তারা।