জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: ভোলায় বাস চলাচল বন্ধ, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর বাস ভাড়ার সঙ্গে তা 'সমন্বয় হচ্ছে না' অভিযোগ তুলে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার অধিকাংশ বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন ভোলার বাস মালিকরা। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
বিশ্ববাজারের জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় গতকাল বুধবার বাংলাদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ১৫ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ৬৫ টাকার এই জ্বালানি ভোক্তাদের কিনতে হচ্ছে ৮৫ টাকা দিয়ে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে গণ পরিবহন ও পণ্য পরিবহন মালিকরা। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের পণ্য পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। তবে তার আগেই বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন ভোলার বাস মালিকরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীর সাথে এ বিষয়ে দেখা করেন। তিন দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় প্রতিনিধি দলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন মিয়া, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমানসহ মালিক সমিতির অন্যান্য নেতারা।
ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর বিরূপ প্রভাব পরিবহন খাতে পড়তে শুরু করেছে। গতকাল থেকে যে কয়েকটি বাস রাস্তায় চলাচল করছে প্রতিটি বাসেরই লোকসান গুণতে হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "যদি জেলা প্রশাসক আগামী ৩ দিনের মধ্যে আমাদেরকে সঠিক সমাধান না দেন তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিতে বাধ্য হব।"
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কয়েকজন বাস মালিক জানান, বুধবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে সরকারের ঘোষণার পরই বাস চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। তবে সেটি তারা করেছেন ব্যক্তিগত ইচ্ছায়। মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।