জলপাই চিনাবাদামের ঘোষণায় এলো শিশুখাদ্য
মালয়েশিয়া থেকে জলপাই ও চিনাবাদাম আমদানির ঘোষণা দিয়ে ঢাকার সিয়াম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দরে শিশুখাদ্য (লেকটোজেন) নিয়ে এসেছে। এই ঘটনায় ৬০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্স (এআইআর) ইউনিট চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য চালানটি আটক করে। আমদানিকারকের পক্ষে চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট) খান এন্টারপ্রাইজ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, ঢাকার আমদানিকারক মেসার্স সিয়াম এন্টারপ্রাইজ মালয়েশিয়া থেকে ১৩ হাজার ৫২০ কেজি জলপাই ও চিনাবাদাম আমদানির ঘোষণা দিয়ে নিয়ে আসে ২১ হাজার ৬০ কেজি নেসলে কোম্পানির শিশুখাদ্য লেকটোজেন।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চালানটি খালাস নিতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ২৩ এপ্রিল কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। মঙ্গলবার বন্দরের ইয়ার্ডে চালানের কায়িক পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা অনসুয়া বলেন, নেসলে কোম্পানির দুধ শুধু তাদের অনুমোদিত ডিলারই আমদানি করতে পারে। সেক্ষেত্রে দুধের মোড়কে বাংলায় 'মায়ের দুধের বিকল্প নেই'- এমন নির্দেশনা থাকবে। আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে, অবৈধভাবে পণ্য চালানটি নিয়ে আসে এবং ৬০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে। এই বিষয়ে কাস্টম আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খান এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর গোলাম মাওলা খানের সঙ্গে একাধিকবার টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি