ছিনতাইয়ে ব্যর্থ হয়ে ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত

কক্সবাজার শহরে ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে চার শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে চিহ্নিত অপরাধীরা।
শহরের লাইট হাউজ পাড়া ছত্তারঘোনা সড়কে রোববার দিবাগত রাত ৯ টায় এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাইট হাউজ পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে স্কুল শিক্ষার্থী কামরুল হাসান নয়ন (১৬), আজিজুর রহমানের ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী রাহাত হোসেন (১৮), সালামত খানের ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী শাহরিয়াজ খান ইমন (২২) ও মোহাম্মদ আলমের ছেলে স্কুল শিক্ষার্থী মো. আসিফ (১৬)।
শিক্ষার্থী কামরুল হাসানের মামা জহির আলম জানান, আহতরাসহ এলাকার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিকেলে এলাকার মাঠে ক্রিকেট খেলে। এতে আসিফ হাতে আঘাত পায়। আঘাতের চিকিৎসা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিল তারা।
ছত্তারঘোনা এবং লাইটহাউজের মাঝামাঝি অন্ধকারাছন্ন এলাকায় পৌঁছালে তাদের গতি রোধ করে পাঁচ যুবক। তারা ছুরি ধরে আসিফ, কামরুল, রাহাত ও ইমনের কাছে যা আছে তা বের করতে বলে। স্থানীয় হওয়ায় কামরুলরা ছিনতাইকারীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি শুরু করে। এরপরই দুগ্রুপের মাঝে হাতাহাতি হয়।

এক পর্যায়ে আসিফ এবং রাহাতকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ছিনতাইকারিরা। তাদের চিৎকার শুনে পাশের লোকজন এগিয়ে আসছে দেখে শিক্ষার্থীদের ছুরিকাঘাত করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে জখম হওয়া চারজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা চিহ্নিত অপরাধী ও ছিনতাইকারী। তারা এলাকার হাত কাটা সৈয়দ বাহিনীর সক্রিয় সদস্য বলে ধারনা করেন তিনি। তাই এদের সাত সদস্য হাতকাটা সৈয়দের ছোট ভাই মনজুর, তার সহযোগী আজিজ, আবদু শুক্কুর, আয়াছ, আবদুল্লাহ, বার্মায়া পুতু ও বীচ শুক্কুরের নাম উল্লেখ করে এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাসুম খান জানান, একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা তা গুরত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।