চার কুকুর ছানা হত্যা, থানায় অভিযোগ

কুকুরের চারটি ছানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
‘পিপলস ফর অ্যানিমেল’ নামে একটি সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অভিযোগটি দায়ের করেন।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে সামিউল নামে মাইক্রোবাসের এক হেলপার কুকুর ছানাগুলোকে পিটিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ওই পোস্টে হত্যাকারীর বিচারের দাবি জানানো হয়।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, ২২ জানুয়ারি দুপুরে আলমডাঙ্গা থানার পাশে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে কুকুর ছানাগুলোকে পিটিয়ে হত্যা করেন সামিউল। ওই সময় মা কুকুরটি অসহায়ের মতো দূর থেকে দেখছিল। তার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল অশ্রু। যদিও প্রত্যক্ষদর্শী কেউই কুকুর ছানাগুলোকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি।
তারা জানান, ছানাগুলোকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ থাকা সামিউল স্থানীয় থানা পাড়ার ধনাঢ্য রূপক মিয়ার মাইক্রোবাসের হেলপার।
তবে রূপক মিয়ার দাবি, ঘটনার বিষয়ে কেউ তাকে অবহিত করেননি। তিনি বলেন, ‘‘যদি সামিউল জড়িত থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে আমি নিজে ব্যবস্থা নেব।’’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটি ভাইরাল হওয়ার পর এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ-হেল কাফি ও আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী শামীমুর রহমান।
‘পিপলস ফর অ্যানিমেল’ নামক সংগঠনের আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হেল কাফি ওই রাতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের ৭ ধারার ২ উপধারায় থানায় অভিযোগ করেন।
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী শামীমুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা থানায় এসে সামিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে অভিযোগটি আদালতে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে সামিউলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।