চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল)। প্রাচীন এই সমুদ্র বন্দর বর্তমানে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির ৯২ শতাংশেরও অধিক পণ্য এবং ৯৮ শতাংশ কনটেইনারজাত পণ্য হ্যান্ডলিং করছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর ১৩৪ তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকীর কোন আনুষ্ঠানিকতা রাখে নি বন্দর কতৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান বন্দরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দরকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সর্বাত্মক সহায়তার জন্য বন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, বার্থ অপারেটর, টার্মিনাল অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার, শিপিং এজেন্টগণ, শ্রমিকবৃন্দ, বন্দর ব্যবহারকারীগণ ও স্টেকহোল্ডারগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, ২০২১ সালের মার্চ মাসে যথাক্রমে জাহাজের সংখ্যা ছিল ৩৭৬টি, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ২,৬৯,৪৪৬ টিইইউস, কার্গো হ্যান্ডলিং ১১০৪২৮১৮ মে.টন।
২০২০ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে আগত জাহাজের সংখ্যা ছিল ৩৬৬টি, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ২,৪৯,৬৬৯ টিইইউস, কার্গো হ্যান্ডলিং ১০২৬৪৪০২ মে.টন। কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং এ প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭.৭% এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং এ ২.৭%।
বন্দর চেয়ারম্যান এম. শাহজাহান বলেন, '২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতিতেও এই বন্দর ২৮ লক্ষাধিক কন্টেইনার হ্যান্ডেল করেছে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম বন্দর ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের তালিকায় ৯৮তম অবস্থান নিয়ে নিজের স্বীকৃতি অর্জন করে। মাত্র ১১ বছরে ৪০ ধাপ এগিয়ে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৫৮তম অবস্থানে উন্নীত হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের এই অর্জন বর্তমান সরকারের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নেরই প্রতিফলন'।
জাতীয় অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, 'একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বন্দরের আধুনিকায়ন, যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণ ও নিউ মুরিং ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে। ইতিমধ্যে পতেঙ্গাস্থ লালদিয়াচর এলাকায় বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ ৫২ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত এলাকায় বন্দর সুবিধাদি বৃদ্ধির বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হচ্ছে'।