চট্টগ্রামে বৌদ্ধ বিহারে হামলা, মূর্তি ভাঙচুর

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়ন বিবিবিলা শান্তি বিহারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় বিহারের একটি মূর্তি, সীমানা প্রাচীর ও জানালা-দরজা ভাঙচুর করা হয়েছে।
এই ঘটনায় সোমবার বিহারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়সেন বড়ুয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকের হোসাইন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিবিবিলা শান্তি বিহারে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ করছে।
বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত এস. ধর্মতিলক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, রোববার ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে একদল সশস্ত্র লোক বিহারের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গুলি ছুড়ে। এরপর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তারপর হামলাকারীরা বিহারে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় তারা বৌদ্ধ ধর্ম বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। হামলাকারীরা বিহারের একটি মূর্তি ভেঙে ফেলে। সীমানা দেওয়াল ও জানালা ভাঙচুর করে। এ সময় কয়েকবার বিকট শব্দ শোনা যায়। হামলাকারীর বোমা সদৃশ্য বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটায়।
বিহার পরিচালনার কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বড়ু য়া জানান, প্রজেক্ট থেকে মাছ ধরা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে রকি বড়ুয়া নামে এক যুবকের ঝামেলা হয়। রোববার রাতে বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই পক্ষের প্রায় ৪০০ শতাধিক লোক বিহারের পাশে জড়ো হয়। বৈঠকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আসহাব উদ্দিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ঘটনা মীমাংসার পর দুই পক্ষের লোকজন নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। কিন্তু গভীর এক পক্ষের লোকজন এসে বিহারের হামলা চালায়।
স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ওই হামলা নির্দেশদাতা বলে জানা গেছে। তবে রোষানলে পড়ার ভয়ে কেউ তার নাম প্রকাশ করতে চাননি।
এদিকে, ঘটনার পর স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাজারে বৌদ্ধদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ রয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন বলেন, বিহারে একটি ভাঙা মূর্তি পেয়েছি। কিছু অবকাঠামো ভাঙচুর হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতির ওপর পুলিশ সার্বক্ষণিক নজর রাখছে।