চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম নগরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনিসহ ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার বিকেল ৩টায় কাজীর দেউড়ির নুর আহম্মদ সড়ক এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে তল্লাশি চালিয়ে মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনিসহ ১৪ বিএনপি নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরে ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল থেকে আটক করা হয় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, তার ব্যক্তিগত সহকারী মারুফ হোসেন ও পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলীকে।
ডা. শাহাদাতকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ।
তিনি বলেন, 'বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। তারা মিছিল নিয়ে এসে পুলিশ দেখে হঠাৎ ইট-পাটকেল, ককটেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। দুই পক্ষের মারামারিতে বিএনপির ইটের আঘাতে ৫-৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চার নারীসহ ১৪ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। পরে পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে।'
এদিকে, বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসছিল। পুলিশ বিনা উস্কানিতে নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।'
নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী বলেন, 'ছাত্রদলের মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। তারা মিছিল নিয়ে এসএ পরিবহনের সামনে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা অতিক্রম নেতা-কর্মীরা মূল সমাবেশে পৌঁছালে লাভলেইন মোড় থেকে পুলিশ গুলি করতে করতে এগিয়ে আসে। এতে ১২ থেকে ১৫ জন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে নগরীর বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।'
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, পুলিশের গুলিতে আহত দুই বিএনপি কর্মী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।