চট্টগ্রামে অর্ধশত গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা
চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
শুক্রবার চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড, পটিয়াসহ বিভিন্ন বিভিন্ন উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন।
মূলত সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল দরবার শরীফ ও চন্দনাইশ উপজেলার মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা সৌদি আরবের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রতিবছর ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করেন।
তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু মসজিদে নামায আদায় করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় চন্দনাইশের মমতাজিয়া দরবার শরীফ মাঠে এবং সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফ মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
মমতাজিয়া দরবার শরীফে ঈদ জামাতে ইমামতি করেন দরবার শরীফের পীর মাওলানা হযরত শাহছুফি সৈয়্যদ মোহাম্মদ আলী শাহ্। সাতকানিয়া দরবার শরীফে ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন পীরজাদা মওলানা ড. মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান।
মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী আনোয়ার মিয়া বলেন বলেন, সকাল ৯টায় আমরা ঈদের নামায আদায় করেছি। তবে এবার করোনাভাইরাসের কারণে লোকসমাগম কম হয়েছে।
এই দুই দরবার শরীফের অনুসারীরা প্রায় দুই হাজার পশু কোরবানি দিয়েছে।
এছাড়া বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের আলীকদম, নাইক্ষংছড়ি, কক্সবাজারের টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ বিভিন্নস্থানে দুই দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
জানা গেছে, মির্জাখীল দরবারের সূফী সাধক মাওলানা মোখলেসুর রহমান প্রায় ২০০ বছর আগে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহার নামাজ পালন করার নিয়ম প্রর্বতন করেন। একইভাবে চন্দনাইশ উপজেলার মমতাজিয়া দরবার শরীফের পীর শাহছুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী একই রীতি চালু করেন।