গরীবের ত্রাণ গেল চেয়ারম্যানের পেটে!

সারা দেশের দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। স্থানীয় প্রশাসনের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে এসব ত্রাণ সামগ্রী।
কিন্তু উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া ত্রাণ এলাকায় ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্যরা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মেম্বারদের কিছু না জানিয়ে খালি রেজুলেশন করে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড যেমন, ওয়ান পার্সন ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব আয়ের কোনো হিসাব পত্র সদস্যদের না জানানো। নিজের ইচ্ছায় এলজিএসপি, এডিপিসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় বিদেশ ফেরত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা হতদরিদ্রের তালিকা মেম্বারদের না জানিয়ে চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছা মতো তালিকা করে। প্রাপ্ত ত্রাণ ইউপি ওয়ার্ড অনুযায়ী বিতরণ না করে নিজের ইচ্ছা মতো বিতরণ করা ইত্যাদি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, "করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কর্মহীন দিনমজুর হতদরিদ্রের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে তিন দফায় ত্রাণ পাঠানো হয়। প্রথম দফায় ৫০০ কেজি চাল ও নগদ তিন হাজার টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৫৩৩ কেজি চাউল, তৃতীয় দফায় সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে ৫০ বস্তা ত্রাণ (চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ) পাঠানো হয়।
কিন্তু চেয়ারম্যান নিজ ইউনিয়নে বিতরণ করছেন কি না সেটার মাষ্টার রুল কপি উপজেলায় জমা দেয়নি। অন্য চেয়ারম্যানরা জমা দিলেও তিনি এখানো কোনো মাস্টাররুল কপি জমা দেননি। শনিবার ওই ইউনিয়নের ৮ মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কপিটি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।"
এই প্রসঙ্গে জানার জন্য চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের একাধিক নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
একই প্রসঙ্গে, ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার এম জালাল আহমেদ বলেন, দেশের স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য ত্রাণ দিচ্ছে সরকার। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যান সব সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ত্রাণগুলো বিতরণ করেন। প্রতিটি ওয়ার্ডের অস্বচ্ছল ও নিম্ন আয়ের মানুষদের এসব ত্রাণ দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের ইউনিয়নে তিন বার বরাদ্দ আসলেও আমাদের না জানিয়ে নিজ কব্জায় রেখেছেন চেয়ারম্যান।