খুলনায় একদিনে চিকিৎসকসহ করোনা আক্রান্ত ৩৫
খুলনায় একজন চিকিৎসকসহ আরও ৩৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরীসহ জেলায় ৩৫ জন রয়েছেন। এছাড়া ঝিনাইদহের দুজন, সাতক্ষীরা ও মাগুরার একজন করে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
খুমেক সূত্র জানায়, খুলনা মহানগরীসহ জেলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত। এর আগে বুধবার এ জেলায় ৩১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হন। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে খুলনার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, বৃহস্পতিবার খুমেকের পিসিআর মেশিনে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে খুলনা জেলার নমুনা ছিল ১৬৮টি। এদের মধ্যে ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
খুলনায় শনাক্ত ৩৫ জনের মধ্যে ২৫ জনই মহানগরীর বাসিন্দা। এছাড়া দিঘলিয়া উপজেলার সাতজন, ডুমুরিয়া উপজেলার একজন ও দাকোপ উপজেলার দুজন রয়েছেন।
অপরদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার একজন, মাগুরা জেলার একজন ও ঝিনাইদহ জেলার দুজন রয়েছেন।
ডা. মেহেদী নেওয়াজ আরও জানান, বৃহস্পতিবার খুমেকের ল্যাবে শনাক্ত হওয়া ৩৯ জনের মধ্যে রয়েছেন খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ বছর বয়সী এক তরুণ চিকিৎসক, খুলনা জেলা কারাগারের তিন কারারক্ষী ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) ছয় সদস্য।
এদিকে, করোনার নতুন হটস্পট রেড জোনে থাকা খুলনা বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশিদা সুলতানা জানান, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী পাওয়া গেছে এক হাজার একজন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৬২ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১৪ জন।
এ বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১৯ মার্চ, চুয়াডাঙ্গায়।
স্বাস্থ্য পরিচালক আরও জানান, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ২৪৮ জন, বাগেরহাটে ৪৬, সাতক্ষীরায় ৫৬, যশোরে ১৭১, ঝিনাইদহে ৬৫, মাগুরায় ৪৩, নড়াইলে ৫০, কুষ্টিয়ায় ১৬৩, চুয়াডাঙ্গায় ১৩০ ও মেহেরপুর জেলায় ২৯ জন এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।