খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের করা আবেদনের বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির ছয় মাস মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সে অনুযায়ী আগের বারের মতো খালেদা জিয়ার পরিবার এবারও মুক্তি চেয়ে আবেদন করেছে। আইন মন্ত্রণালয় সেটির উপর মতামত দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বিকেল ৩টায়।"
কী সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়-এ বিষয়ে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর এপ্রুভাল না পাওয়া পর্যন্ত, সুপারিশের বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।"
বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে বলা হয়, খালেদা জিয়ার পরিবার তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইউএনবিকে বলেন, "যেহেতু খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হতে চলছে, তাই তার পরিবার এর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে। বিএনপি প্রধানের পরিবার দাবি করেছে যে কোভিড-পরবর্তী জটিলতার কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং তাঁরা আবার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকারের অনুমতি চেয়েছে।"
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। সরকার গত বছরের ২৭ আগস্ট তার মুক্তি আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছিল এবং গত ১৫ মার্চ এটি আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
১০ এপ্রিল পরীক্ষায় খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয় এবং ২৭ এপ্রিল তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি সেখানে ১৯ জুন পর্যন্ত চিকিৎসা নেন। ৫ মে তার পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল, কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন দণ্ডিত ব্যক্তি এ ধরনের সুযোগ পেতে পারে না।