খাতুনগঞ্জে চাহিদার সঙ্গে কমে আসছে রমজানের নিত্যপণ্যের দামও
রমজান শেষ হয়ে আসায় চাহিদার সঙ্গে কমে আসছে রমজানের নিত্যপণ্যের দামও। ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে গত এক সপ্তাহে রমজানের প্রয়োজনীয় কয়েকটি পণ্যের দাম কমে গেছে। স্থির রয়েছে বেশিরভাগ পণ্যের দাম।
খাতুনগঞ্জের ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রমজান শেষ হওয়ার সাথে সাথে রমজানে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের চাহিদাও কমে আসছে। এরমধ্যে যেসব পণ্যের সরবরাহ বেশি সেসব পণ্যের দামও কমেছে গত দুই সপ্তাহে। কিন্তু, ছোলা, মসুর, ভোজ্যতেল ও চিনিসহ যে সব পণ্যের চাহিদা কমলেও সরবরাহ যথেষ্ট নেই, সেসব পণ্যের দাম স্থির রয়েছে।
খাতুনগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ী ও পায়েল ট্রেডিংয়ের আশুতোষ দে বলেন, চাহিদা কমলেও ছোলা, ভোজ্যতেল ও চিনির সরবরাহ কম রয়েছে বাজারে। ফলে এসব পণ্যের দাম স্থির রয়েছে। এমনকি ভোজ্যতেল ও চিনির দাম আগের চেয়ে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
খাতুনগঞ্জে মানভেদে বর্তমানে প্রতিকেজি মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৯৫ টাকার মধ্যে। যা রমজান শুরুর দিকে ১২০-১২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে, গত দুই সপ্তাহে মুগডালের দাম কমেছে কেজিতে ৩০-৪৫ টাকা পর্যন্ত।
রমজানের শুরুর দিকে প্রতিকেজি খেসারি ডাল বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকা দামে। কেজিতে ২০ টাকা কমে বর্তমানে একই মানের খেসারি ডাল ৫২-৫৩ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে পাইকারিতে প্রতিকেজি মটর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা দরে। যা রমজানের শুরুর দিকে ৪০ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে, গত দুই সপ্তাহে প্রতিকেজি মটর ডালের দাম কেজিতে ৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
রমজানের শুরুতে খাতুনগঞ্জে মানভেদে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) চিড়া বিক্রি হয়েছে ২৫০০-২৬০০ টাকা দামে। মণে প্রায় ৭০০ টাকা কমে বর্তমানে একই মানের চিড়া বিক্রি হচ্ছে ১৮৫০-১৮৭০ টাকা দামে।
ঈদ বাজারে প্রতিবছর কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেলেও এবারে দীর্ঘদিন ঊর্ধ্বমুখী থেকে কিছুটা কমেছে নারকেলের দাম। পাইকারি বাজারে গত দেড়-দুই মাস ধরে প্রতিটি নারকেল বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকার উপরে। প্রতি নারকেলে ১৫ টাকা কমে বর্তমানে একই আকারের নারকেল ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরেই পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বিকিকিনি আগের চেয়ে কমে আসছে। রমজানকে ঘিরে রমজানের দুই মাস আগে থেকে সরগরম হয়ে উঠে খাতুনগঞ্জ। এরপর ১৫ রমজান পর্যন্ত বাজারে বিকিকিনি বেশি থাকে। এরপর আস্তে আস্তে বিকিকিনি কমতে থাকে।