করোনা উপসর্গ নিয়ে মায়ের পর বন্দর প্রকৌশলী ও কর্মীর মৃত্যু
করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরের উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মারা গেছেন। রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এর আগে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছিলেন এই প্রকৌশলীর মা।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের আরেক কর্মীর মৃত্যু।
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে বন্দরের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। দু'দিন আগে আনোয়ার পারভেজ নামে যান্ত্রিক বিভাগের একজন মেকানিক করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার পূর্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান যান্ত্রিক বিভাগের আরও একজন কর্মকর্তা। এ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের যান্ত্রিক বিভাগের ৩ কর্মকর্তা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একই বিভাগের আরও ৩ কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের বৃদ্ধ মা করোনা উপসর্গ নিয়ে এক সপ্তাহ আগে মারা যাওয়ার পর নিজের বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন। রোববার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফজলুল হক (৫৮) নামে এক বন্দর কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোর রাতে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ফজলুল হক চট্টগ্রাম বন্দরের যান্ত্রিক বিভাগের মাস্টার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার ভোররাতে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিউতে তিনি মারা যান।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে বন্দরের যান্ত্রিক, পরিবহনসহ বিভিন্ন বিভাগের ৭ জন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।