করোনায় সর্বোচ্চ সংক্রমিত দেশের ১০ জেলা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দুই-তৃতীয়াংশই বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের অতি উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
১৪ থেকে ২০ জুন-এই এক সপ্তাহের নমুনা পরীক্ষা ও রোগী শনাক্তকরণের হার বিবেচনার আলোকে দেশে করোনার তিন মাত্রার ঝুঁকি (অতি উচ্চ, উচ্চ ও মধ্যম) চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশঙ্কা, স্বাস্থ্য বিধি এবং সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ না মানলে চলমান করোনা পরিস্থিতি শোচনীয় পর্যায়ে চলে যেতে পারে।
প্রতিবেদনের আলোকে দেশের যে ১০টি জেলায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অত্যধিক তা হলো-
ঢাকা
১৪ থেকে ২০ জুন-এই এক সপ্তাহে ঢাকায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৫,৭০২ জন। একই সময়ের মধ্যে ঢাকায় করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৩ জন।
রাজশাহী
সাতদিনে রাজশাহী জেলায় ২,২০৮ টি করোনার কেস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে জেলায় এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছে ১৯ জন।
খুলনা
সংক্রমণের ২৪তম সপ্তাহে খুলনাতে নতুন কেস শনাক্ত হয়েছে ১,৩৩০টি। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৭ জন।
যশোর
খুলনা সংলগ্ন এ জেলায় ১৪ থেকে ২০ জুন তারিখে করোনার নতুন কেস শনাক্ত হয়েছে ১,২৭৩টি এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ২২টি।
চট্টগ্রাম
গত ১৪-২০ জুন তারিখে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১,১৭৪ জনের এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ১৯টি।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়াতে ১৪-২০ জুন এই সাতদিনে ৭৬৫টি নতুন শনাক্তের ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে করোনায় প্রাণহানি হয়েছে ২৬ জনের।
নওগাঁ
এদিকে নওগাঁয় ১৪ থেকে ২০ জুনের মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ৭০৫ জন, একই সময়ে মৃতের সংখ্যা ১৪।
দিনাজপুর
সংক্রমণের ২৪তম সপ্তাহে দিনাজপুর জেলায় ৬৭২টি কেস শনাক্ত হয়েছে; একই সময়ে করোনায় মারা গেছেন ১২ জন।
টাংগাইল
টাংগাইলে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে ৬৫৪ জনের। তবে এ সময় জেলায় করোনায় নিহতের সংখ্যা ৬, যা ১০টি জেলার ভিতর সর্বনিম্ন।
নোয়াখালী
১৪-২০ জুন সময়সীমায় নোয়াখালীতে করোনার ৫৭৮টি কেস শনাক্ত হয়েছে এবং একই সময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ১৭ জনের।