Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • অন্যান্য
  • English
The Business Standard বাংলা
tbs
SATURDAY, MAY 28, 2022
SATURDAY, MAY 28, 2022
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • অন্যান্য
  • English
করোনাভাইরাস: অবজ্ঞার শিকার রেমিট্যান্স যোদ্ধারা

বাংলাদেশ

অপূর্ব ইব্রাহীম
08 April, 2020, 03:50 pm
Last modified: 08 April, 2020, 04:05 pm

Related News

  • ভারতে করোনার নতুন ধরন ‘এক্সই’ শনাক্ত
  • বিশ্বের প্রথম নাকে স্প্রে করার করোনা টিকা নিবন্ধিত রাশিয়ায়
  • চীনে আবারও বাড়ছে সংক্রমণ, প্রায় ৪ কোটি মানুষ লকডাউনে
  • ‘যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি’ দানের টিকা পোল্যান্ডকে ফিরিয়ে দিল ইরান
  • অনাবিষ্কৃত করোনাভাইরাস? রহস্যময় রাশিয়ান ফ্লু

করোনাভাইরাস: অবজ্ঞার শিকার রেমিট্যান্স যোদ্ধারা

স্বজনদের দেশে রেখে হাজার কিলেমিটার দূরে থাকা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আজ অনেক অসহায়। করোনাভাইরাস ছড়ানোর পেছনে তাদেরকে সরাসরি দায়ী করে দেশের মানুষের ঘৃণা ও অযাচিত মন্তব্যে সমালোচিত তারা। 
অপূর্ব ইব্রাহীম
08 April, 2020, 03:50 pm
Last modified: 08 April, 2020, 04:05 pm

'একদিন করোনাভাইরাস থাকবে না। শুধু মনে থাকবে প্রবাসীদের নিয়ে তোমাদের মন্তব্য, ঘৃণা এবং গালিগালাজের ইতিহাস। যদিও জানি বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ করোনা রোগীর চিকিৎসা হবে প্রবাসীদের রক্ত পানি করা টাকায়। আমাদের কোনো অভিযোগ নেই হে জন্মভূমি।'

শাহাদাত হোসেন নামে কাতার প্রবাসী এক ব্যক্তির ফেসবুকে এমন একটি স্ট্যাটাস দেন। যদিও লেখাটি তার নিজের নয়। মধ্যপ্রাচ্যে থাকা বেশির ভাগ বাংলাদেশির ফেসবুক থেকে এই স্ট্যাটাসটি শেয়ার করা হচ্ছে। কে লেথাটি প্রথম পোস্ট করেছিলেন তা জানা যায়নি।

প্রবাসীদের নিয়ে আবেগঘন এই পোস্টটি রীতিমতো ভাইরাল। কিন্তু কেন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনটা লিখছেন? নিজের দেশের মানুষের প্রতি কেন তাদের এত অভিযোগ, আক্ষেপ?

গত মার্চে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলকলি বেকারির গেইটে একটি নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে লেখা ছিল 'বিদেশি লোকের প্রবেশ নিষেধ'। এছাড়া একই মাসে সিলেট শহরে ইবনে সিনা নামে একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের দরজায় লেখা ছিল, 'বিদেশ ফেরত কোনো রোগী বা দর্শনার্থী এই হাসপাতালে আসবেন না'।

কথাগুলো দাগ কেটেছে প্রবাসীদের মনে। স্বজনদের দেশে রেখে হাজার কিলেমিটার দূরে থাকা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আজ অনেক অসহায়। করোনাভাইরাস ছড়ানোর পেছনে তাদেরকে সরাসরি দায়ী করে নিজ দেশের মানুষের ঘৃণা ও অযাচিত মন্তব্যে আজ তারা সমালোচিত। 

কিন্তু তারপরও তারা দেশের মানুষের প্রতি বিরক্ত নন। বিদেশ ফেরতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার ছবি পোস্ট করে জাফর আহমেদ নামে এক সৌদি প্রবাসী তার ফেসবুক একাউন্টে লিখেছেন, 'দোয়া করি, করোনাভাইরাস থেকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক বাংলাদেশ'।
  
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের দিক দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে দিন-দিন শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন এক হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থবছরের হিসাবে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। ফলে সঙ্গত কারণেই প্রবাসীদের বলা হয়ে থাকে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। কিন্তু বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়ানোর জন্য প্রবাসীদের দায়ী করে অনেকের অযাচিত মন্তব্য ও আচরণে ব্যাথিত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিরা।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। দেশের সবচেয়ে বেশি প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলোর অন্যতম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। গত ১ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ছয় হাজার ৭৯১ জন প্রবাসী ছুটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এসেছেন। এর মধ্যে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২৩ জন। আর ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন পাঁচ হাজার ৬৩৮ জন। বাকি ৬৩০ জন প্রবাসী বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাইরে অবস্থান করছেন।

ছুটিতে দেশে আসলে আগে যে মানুষগুলো জামাই আদর দেখিয়ে বুকে টেনে নিতেন, তারাই এখন প্রবাসীদের দূরে সরিয়ে রাখছেন। বিদেশ থেকে কী এনেছেন জিজ্ঞেস না করে প্রবাসীদের দেখে অনেকেই অন্যপথে হাঁটতে শুরু করেছেন। দৃশ্যগুলো প্রবাসীদের জন্য খুবই পীড়াদায়ক। কারণ তারা বিদেশ থেকে এসে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থেকেছেন। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। 

কিন্তু নিজ দেশে ফিরে এভাবে অবহেলিত হতে হবে তা তারা কখনোই কল্পনা করেননি। প্রবাস থেকে এসেছেন শুনলেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে গুজব ছড়িয়ে সামাজিকভাবেও হেয় করার ঘটনা ঘটছে।

১৮ বছর ধরে সৌদি আরবে থাকেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামের জাফর আহমেদ। দাম্মামের আল জুবাইল শহরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্টোর কিপার হিসেবে কাজ করেন তিনি। কখনও ভাবেননি নিজ দেশের মানুষের কাছে প্রবাসীরা অপমান-বঞ্ছনার শিকার হবেন। প্রবাসীদের নিয়ে বিভিন্ন অযাচিত মন্তব্য শুনে তিনি এবার ছুটি পেলেও দেশে আসেননি।

মুঠোফোনে তিনি বলেন, বিভিন্ন উত্সব এলে দেশের মানুষ পরিবার নিয়ে কতো আনন্দ করে। কিন্তু আমরা হাজার কিলোমিটার দূর থেকে চোখের পানি ফেলি। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অমানবিক পরিশ্রম করে দেশের জন্য টাকা পাঠাই। সেই দেশ থেকে এমন আচরণ আমরা প্রত্যাশা করিনা।

মালয়েশিয়া প্রবাসী কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জয়নাল আবেদীন সরকারের কিছু সক্ষমতার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, যে মানুষগুলো ইতালি থেকে বাংলাদেশে ঢুকলো, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কেন চিহ্নিত করতে পারলো না?

'দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান ইতালি ফেরতদের আটকাতে পারল না। কিন্তু তার দায় নিতে হয়েছে লাখ লাখ প্রবাসীকে।' যোগ করেন তিনি।

কাতার প্রবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপার ইউনিয়নের আহম্মদ আলীর ছেলে আবুল কাশেম। গত ৩ মার্চ তিনি দেশে ফেরেন। ১৬ মার্চ কিছুটা অসুস্থবোধ করলে ১৭ মার্চ চিকিৎসক তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালের পরিবেশ নোংরা হওয়ার ভর্তি না হয়ে তিনি বাড়িতে চলে যান। 

এরপর গুজব ছড়ানো হয় তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষায় তিনি সুস্থ্য আছেন বলে জানান চিকিৎসকরা। অথচ মানুষের ছড়ানো গুজবের কারণে সামাজিকভাবে তাকে হেয়প্রতিপন্ন হতে হয়েছে।

একই জেলার সদর উপজেলার বাহরাইন প্রবাসী জাকির সরকার বলেন, আমার শারীরিক কোনো অসুস্থ্যতা না থাকার পরও গত ১৬ মার্চ দেশে ফিরে নিয়ম মেনে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলাম। তবুও কেউ আমাদের সঙ্গে আগের মতো মিশছে না। চারপাশের মানুষগুলোর এমন রূঢ় আচরণ আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের কোনো অভিযোগ নেই, কারণ আমরা প্রবাসী। 

'আমাদের দুঃখ-কষ্ট থাকলেও সেটি প্রকাশ করব না। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করে যাবো।'

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, এ কথা সত্য, প্রবাসীদের কেউ কেউ দেশে এসে কোয়ারেন্টিন না মানার কারণে পুরো বাংলাদেশ এখন হুমকির মুখে। তবে কোয়ারেন্টিন না মানা প্রবাসীদের সংখ্যা খুবই কম। সেজন্য ঢালাওভাবে তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করা ঠিক নয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে প্রবাসীদের এখন অপমান করা হচ্ছে। যা একেবারেই অনুচিত। আমাদের অর্থনীতিতে তাদের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। 

'মুক্তিযুদ্ধসহ সকল দুর্যোগেই প্রবাসীরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে তারা আমাদের কাছ থেকে সম্মানপ্রাপ্য। অথচ আমরা তাদের উল্টো অপমান-অবজ্ঞা করছি।'

তিনি বলেন, এই রোগ তো প্রবাসীরা ইচ্ছে করে নিয়ে আসেননি। তাদের কয়েকজনের অসচেতনতাকে দায়ী করা যেতে পারে। তবে সরকারের দায় সবচেয়ে বেশি। সরকারই এই সময়ে প্রবাসীদের দেশে আসতে দিয়েছে। তাদের কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। 

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার ফারুক বলেন, বিদেশ ফরত প্রবাসীদের বাড়িতে লাল স্টিকার লাগিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষে একজন প্রবাসী অন্য সবার মতো স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। এ সময় যদি কেউ তাদের সঙ্গে অসাদচরণ করেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

 

Related Topics

টপ নিউজ

করোনাভাইরাস / রেমিট্যান্স যোদ্ধারা / রেমিট্যান্স যোদ্ধা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • মেঘনা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে 
  • বাঘ ইকো ট্যাক্সি: জুলাই থেকে উৎপাদনে যাবে দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার
  • ঢাকার অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান: সেইসব আধা সাদা সাহেব-মেম
  • দেশবন্ধু সুইটমিট: ৬৪ বছর ধরে ঢাকাবাসীর সকাল-বিকালের নাস্তার প্রিয় জায়গা
  • আগামী বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন
  • যে রেস্তোরাঁয় খেতে যেতেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, নাম দিয়েছেন কায়েস আহমেদ 

Related News

  • ভারতে করোনার নতুন ধরন ‘এক্সই’ শনাক্ত
  • বিশ্বের প্রথম নাকে স্প্রে করার করোনা টিকা নিবন্ধিত রাশিয়ায়
  • চীনে আবারও বাড়ছে সংক্রমণ, প্রায় ৪ কোটি মানুষ লকডাউনে
  • ‘যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি’ দানের টিকা পোল্যান্ডকে ফিরিয়ে দিল ইরান
  • অনাবিষ্কৃত করোনাভাইরাস? রহস্যময় রাশিয়ান ফ্লু

Most Read

1
বাংলাদেশ

মেঘনা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলছে 

2
বাংলাদেশ

বাঘ ইকো ট্যাক্সি: জুলাই থেকে উৎপাদনে যাবে দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার

3
ইজেল

ঢাকার অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান: সেইসব আধা সাদা সাহেব-মেম

4
ফিচার

দেশবন্ধু সুইটমিট: ৬৪ বছর ধরে ঢাকাবাসীর সকাল-বিকালের নাস্তার প্রিয় জায়গা

5
অর্থনীতি

আগামী বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন

6
ফিচার

যে রেস্তোরাঁয় খেতে যেতেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, নাম দিয়েছেন কায়েস আহমেদ 

The Business Standard
Top

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net

Copyright © 2022 THE BUSINESS STANDARD All rights reserved. Technical Partner: RSI Lab