করোনাভাইরাসে আরও ৫৭ মৃত্যু, শনাক্ত ২,১৭৭
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক বছরেরও বেশি সময়জুড়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ পর্যন্ত দেশে ১১ হাজার ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডজনিত কারণে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ৪৬টি কোভিড পরীক্ষার বিপরীতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে শতকরা ১০ দশমিক ৩৪ জনের মধ্যে।
মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ২ হাজার ১৭৭ জনের দেহে। মহামারি শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এই শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৩২ জনে। সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভে চলতি মাসে সংক্রমণের সংখ্যা হু হু করে বাড়লেও গত কয়েক দিন ধরেই লকডাউনের মধ্যে শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনাভাইরাস বিষয়ে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এক বছরে মোট ৫৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭০৪ টি নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় গত এক বছরে সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন ও নারী ২৫ জন।
অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা নারীদের প্রায় তিনগুণ বেশি।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ হাজার ৩২৫ জন কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট ৬ লাখ ৮১ হাজার ৪২৬ জন সেরে উঠলেন প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সে বছরের ১৮ মার্চ।
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য একটি বিশেষ ওয়েবসাইট (www.corona.gov.bd) চালু রেখেছে সরকার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে লকডাউন চলছে।
অন্যদিকে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে মানুষের দেহে প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি করতে সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এক নজরে বাংলাদেশের করোনা চিত্র:
মোট শনাক্ত: ৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৩২ জন
মারা গেছেন: ১১ হাজার ৪৫০ জন
মোট সুস্থ: ৬ লাখ ৮১ হাজার ৪২৬ জন
মোট নমুনা পরীক্ষা: ৫৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭০৪টি