ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন ডেল্টা ভেরিয়েন্টের চেয়ে অধিক সংক্রামক। তাই করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বন্দরে স্ত্রিনিং জোরদার করা, সব ধরনের জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা, পর্যটন কেন্দ্রে অর্ধেক মানুষের অংশগ্রহণ এবং রেস্টুরেন্টে অর্ধেক বা তারও কম মানুষ বসে খাওয়াসহ ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক, ডিজিজ কন্ট্রোল প্রফেসর ডা. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সময় সময় ঘোষিত অন্যান্য আক্রান্ত দেশ হতে আগত যাত্রীদের বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ত্রিনিং জোরদার করতে হবে। সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে গেলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সবসময় সঠিক নিয়মে মাস্ক পরাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ব্যবস্থা ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার চেয়ে কম করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব ধরনের জনসমাগম, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠান (বিয়ে, পিকনিক) ধারণক্ষমতা বা তার অর্ধেকের কম সংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করবে।
মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে মর্মেও নির্দেশ দেওয়া হয় নোটিশে। এতে আরও বলা হয়, গণপরিবহন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবা গ্রহীতা ও সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
আক্রান্ত দেশসমূহ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিশে।
করোনা উপসর্গ/সন্দেহজনক করোনা রোগীর আইসোলেশন ও করোনা রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
এছাড়াও নোটিশে বলা হয়েছে, কোভিডের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা ও তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা করা যেতে পারে। অফিসে প্রবেশ ও অবস্থানকালে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
করোনা নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা তৈরি করতে কমিউনিটি পর্যায়ে মাইকিং ও প্রচারণা চালানো যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে। এক্ষেত্রে মসজিদ মন্দিরের মাইক ব্যবহার এবং ইউনিয়ন পরিসদের সদস্যদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।