একাকিত্বের যন্ত্রণা থেকে বউ-শাশুড়িকে হত্যা!
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একসঙ্গে মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনার অভিযুক্ত মেয়ের জামাইকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। আসামি ১৬৪ জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। দিয়েছেন ঘটনার বর্ননাও।
শুক্রবার একসঙ্গে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের জামসি এলাকায় নিহত মা জায়েদা বেগম (৫৫) ও মেয়ে ইয়াসমিন বেগমের (৩০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইয়াসিনের বোন জেসমিন বাদী হয়ে ইয়াসমিনের স্বামী আজগর মিয়াকে অভিযুক্ত করে শ্রীমঙ্গল থানায় শনিবার দুপুরে মামলা করেন।
মামলার একমাত্র অভিযুক্ত আজগর মিয়াকে শনিবার রাতেই গ্রেপ্তার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। রোববার দুপুরে তাকে মৌলভীবাজার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
শ্রীমঙ্গল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশিকুজ্জামান বলেন, 'মামলার দিন রাতেই আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার পাঁচ ও তিন বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী তার মায়ের সঙ্গে আলাদা থাকায় নিজ বাড়িতে সন্তানদের তিনি নিজেই লালন-পালন করছিলেন। বারবার চাইলেও স্ত্রী যেতে রাজি হননি। দীর্ঘদিনের একাকিত্বের যন্ত্রনা এবং দুই সন্তানকে একা লালন-পালন করতে গিয়ে তিনি হাঁপিয়ে ওঠেছিলেন বলে দাবি করেন।'
হত্যার বর্ণনায় আজগর মিয়া পুলিশকে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তার শাশুড়ি ও স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়লে তিনি বেড়া ভেঙে ঘড়ে ঢোকেন। চুলারপাশে থাকা লোহার লাঠি (চুঙ্গা) দিয়ে প্রথমে শাশুড়িকে ও পরে স্ত্রীকে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে।