উৎসবমুখর পরিবেশে ইউপি নির্বাচন হয়েছে: সিইসি
দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের অসংখ্য ঘটনা ঘটলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা দাবি করেছেন, উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে।
টেলিভিশনে খবর দেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার ইউপি নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
"ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে অবাধ নির্বাচনের খবর টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে," বলেন সিইসি।
নূরুল হুদা বলেন, "নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কিছু জায়গায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কোনো ঘটনাই প্রত্যাশিত বা কাম্য নয়। গণমাধ্যমগুলো এসব ঘটনা নিয়ে বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে এর পেছনে ছিল নির্বাচনকে সামনে রেখে আধিপত্য বিস্তার, বংশীয় প্রভাব, ব্যক্তিগত শত্রুতা, রাজনৈতিক কোন্দল ইত্যাদি।"
সহিংসতার ব্যাপারে নূরুল হুদা আরও বলেন, "যেসব এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো আসলেই একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জায়গা। এসব জায়গায় এ রকম ঘটনা ঘটে।"
এছাড়া ইউপি নির্বাচনকে নিয়ে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের দেওয়া বক্তব্যকে 'শালীনতাবহির্ভূত' বলে আখ্যা দেন সিইসি।
এর আগে, আজ দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় নির্বাচন কমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "মাত্র কয়েকটি (সহিংসতার) ঘটনা ভোটকেন্দ্রে বা ভোটের দিন ঘটেছে। কোনো ঘটনা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই ঘটেছে, আবার কোনোটা রাতের আধারে ঘটেছে। এসব হত্যার মোটিভ কী তা তদন্তের বিষয়।"
জাতীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপে ৩৬৯টি, এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ১০০৭ টি, এবং ২৩ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া আরও প্রায় ১০০০ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল দ্রুতই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ৮ হাজার ৪৭২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন পদে লড়েছেন প্রায় ৪১ হাজার ২১৮ জন প্রার্থী।
৮ হাজার ৪৭২টি কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ১৬টি ভোট কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ প্রিজাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত হওয়ার কারণে বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছে ইসি।