ইভ্যালি পরিচালনার জন্য হাইকোর্টের বোর্ড গঠন
বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির পরিচালনার জন্য চার সদস্যের অন্তবর্তীকালীন বোর্ড গঠন করেছেন হাইকোর্ট। এ বোর্ডের প্রধান হিসেবে থাকছেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
একজন সাবেক বিচারপতি, একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, একজন সচিব ও একজন আইনজীবীর সমন্বয়ে এ বোর্ড গঠনের কথা ছিল। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
এর আগে, ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন প্রতিষ্ঠানটির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন। এর মাধ্যমে নিজের রিফান্ড পাওয়ার আবেদন করেন ওই গ্রাহক। সেইসঙ্গে ইভ্যালির নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনের আবেদনও করেন তিনি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রার ফর জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মকে (আরজেএসসি) আদালত ইভ্যালির সব নথিপত্র আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
হাইকোর্ট ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
তারপর আদালত ইভ্যালি পরিচালনার জন্য একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন সচিব, একজন চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট ও একজন আইনজীবীর সমন্বয়ে চার সদস্যের অন্তবর্তীকালীন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন।
গত ১৩ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বোর্ড গঠনের জন্য তিনজন সাবেক সচিবের নাম দেয়।
ইভ্যালির নিজস্ব তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট সম্পদের মূল্য ১২১ কোটি টাকা, গ্রাহক ও মার্চেন্টরা কোম্পানিটি থেকে পায় এক হাজার কোটি টাকারও বেশি।
কোম্পানিটি বড় ডিসকাউন্ট দিয়ে গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করে ৭-৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার কথা বলে আগাম পেমেন্ট গ্রহণ করে। তবে, অনেক গ্রাহকই সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনো পণ্য বুঝে পাননি।
কিছু ক্ষেত্রে ইভ্যালি পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় গ্রাহকদের রিফান্ড চেক অফার করে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ইভ্যালির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় চেক বাউন্স করে।
অর্থ আত্মসাৎ ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।