ইভ্যালির সিইও রাসেলের বাসায় র্যাবের অভিযান

বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাব।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাবের একজন কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন একজন গ্রাহক।
আরিফ বাকের নামে মামলার ওই বাদী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "গুলশান পুলিশ গতকাল রাতে মামলাটি নথিভুক্ত করেনি, সকালে আমরা আবার থানায় এলে তারা আমাদের জানায় যে, মামলাটি ফাইল করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ
বলে রাখা ভালো, গত ১৪ সেপ্টেম্বর আইনভঙ্গের কারণে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান সেদিন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইভ্যালি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ভোক্তা অধিকার আইন ও দণ্ডবিধি আইন লঙ্ঘন করেছে।
এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দুটি ভিন্ন প্রতিবেদনে ইভ্যালি জানায় যে, ইভ্যালির কাছে গ্রাহকদের পাওনার পরিমাণ ৩১১ কোটি টাকা এবং মার্চেন্টদের পাওনার পরিমাণ ২০৬ কোটি টাকা।
এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইভ্যালি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিপুল ডিসকাউন্টের লোভ দেখিয়ে ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ইভ্যালি অগ্রিম টাকা নিলেও তাদের পণ্য সরবরাহ করেনি। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা অনেক গ্রাহক এখনও পণ্য পাননি। ইভ্যালি যেসব গ্রাহকদের রিফান্ড চেক দিয়েছে, ব্যাংক একাউন্টে টাকা না থাকায় সেগুলোও বাউন্স হচ্ছে।
এছাড়াও জালিয়াতি বা আত্মসাতের তদন্ত চলমান থাকায় ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার স্বামী ও কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।